অপকারী জ্ঞান আর অহংকার থেকে পানাহ চাই।

 

কেউ গায়ক ছিল, তবু নেশা ভুলে, রুটিরুজির পথ বন্ধ করে গান ছেড়ে এলো। মাশাআল্লাহ, আল্লাহ তার জন্য দ্বীনের পথ আবাদ করুন। 
 
অন্যদিকে কেউ কুরআনিক সায়েন্স পড়ে মানুষকে ইসলামের নতুন সংজ্ঞা শেখায়, একই সাথে পাবলিক পোস্ট দিয়ে বলিউডি নাচগানের বিবরণ দেয়, দেশের মাটিতে বলিউডি মুভি বানানোর স্বপ্ন দেখায়! বাহ, ইসলামের কী "উন্নত" সংজ্ঞা শিখছে সবাই তার কাছে, আমি চিন্তা করি। 
 
দ্বীন এত সস্তা না।
 দিনশেষে যে যার পথ বেছে নিবে। সমস্ত জাহেলিয়াতকে সাদরে সম্ভাষণ করা লোকের অনেক খ্যাতি, অনেক অনুসারী থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলেই তার শেখানো বুলি ইসলাম হয়ে যায় না।
 আল্লাহর দ্বীন আল্লাহই হেফাজত করেন, করবেন।
 খড়কুটোর মতো কোনো অচেনা লোকের মাধ্যমে দিয়ে হলেও করবেন। 
যে হয়তো কুরআনিক সায়েন্সে পড়ে নাই, কোনো সাবজেক্টে পি এইচ ডি প্রাপ্ত না, কিন্তু তাকে দেখলে আপনি বুঝবেন সে নবীজির ﷺ সুন্নত বুকে ধারণ করেছে। নবীজির ﷺ দ্বীন হলো সেই দ্বীন যা দেখে জাহেলিয়াত ভয়ে কেঁপে উঠেছিল, সেই দ্বীন যে দ্বীন পালনের দৃঢ়তা দেখে শত্রুও তার শত্রুতা ভুলে ইসলাম গ্রহণ করেছে।
 
 আর আমরা আছি, জাহেল দুনিয়ার সমস্ত কিছুর সাথে তাল মিলিয়ে সেটাকেই দ্বীন মনে করি, সেটাকেই দ্বীন বলে শেখাতে চাই।
 আমাদের নিজেদেরই দ্বীন পালনের কোনো দৃঢ়তা নাই। 
খুব পড়াশোনা আর অভিজ্ঞতার কথা বলে উল্টাই, কিন্তু এইটুকুও বুঝি নাই যে হিজাব কীভাবে করতে হবে, বলিউডি নাচগান দেখা কেন জায়েজ না এইটুকু মাথায় ঢুকে নাই,
 এই সহজ ব্যাপারটা বুঝি নাই যে ফেমিনিজমের তালে তালে নারী-পুরুষ সমঅধিকারের বুলিতে বিশ্বাস আনা দ্বীনের কথা না।
 অথচ যার দ্বীন নিয়ে এত জ্ঞান নাই, যে ইসলাম পালন করতে চায় মাত্র দুইদিন হইসে, সে-ও বোঝে এইগুলা দ্বীন না। কারণ সে নিজের সাথে সৎ, আল্লাহর সাথে সৎ। 
 
কোনো কোনো সময় জ্ঞানও মানুষের জন্য ফিতনা হয়ে যায়। 
পশ্চিমাদের শেখানো ইসলাম নিয়ে অহংকার করতে গিয়ে পুরোনোদিনের আলেমদের বোকা মনে হয়। আসলে অহংকার মানুষকে পথভ্রষ্ট করে ফেলে। 
ইবলিসও অহংকারের কারণেই পথভ্রষ্ট হইসিল। এমন অপকারী জ্ঞান আর অহংকার থেকে পানাহ চাই। আল্লাহর উপর ঈমান নিয়ে রাসূলের ﷺ পথে মরতে চাই। আমীন।
 
{CP}

No comments:

Post a Comment

Plz spread this word to your friends