জীবনের লক্ষ্য কি???


ক্ষণস্থায়ী আমাদের জীবন।

জন্ম নেয়ার ক্ষেত্রে সিরিয়াল আছে। দাদা,বাবা,ছেলে,নাতি। কিন্তু কার কখন মৃত্যু তার কোন গ্যারান্টি নাই। বৃদ্ধ বাবা বেচে থাকতেই ছেলে মারা যায়।

ক্ষণস্থায়ী এই জীবনের জন্য আমাদের সব আয়োজন। অথচ মৃত্যু পরবর্তী অনন্ত জীবনের ব্যাপারে আমরা উদাসীন।
 জন্মিলে মরিতে হবে সবাই স্বীকার করি কিন্তু মৃত্যুর কথা ভুলে দুনিয়া নিয়ে busy থাকি।

এই দুনিয়ার ইজ্জত, বেইজ্জতি, সুখ, দুঃখ সবই মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাবে।আর মৃত্যুর পরের জীবনের (আখিরাতের) ইজ্জত,বেইজ্জতি, সুখ,দুঃখ চিরস্থায়ী। আখিরাতে হিসাবের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অবস্থায় নিজ নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যখন তার বিরুদ্ধে তার পাপকর্মের সাক্ষী দিবে তখন বেইজ্জতি হবে সীমাহীন।

আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন। মৃত্যুর আগেই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য বোঝার তওফিক দান করুন। সেই অনুযায়ী আমল করার তওফিক দান করুন। আমীন।

www.mahbub.info.ms



যে চৌদ্দটি আমলে রিজিক বাড়ে

লিখেছেনঃ আলী হাসান তৈয়ব


প্রথম আমল : তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করা

দ্বিতীয় আমল : তাওবা ও ইস্তেগফার করা

তৃতীয় আমল : আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা

চতৃর্থ আমল : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দরূদ পড়া

পঞ্চম আমল : আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা

ষষ্ঠ আমল : বারবার হজ-উমরা করা

সপ্তম আমল : দুর্বলের প্রতি সদয় হওয়া বা সদাচার করা

অষ্টম আমল : ইবাদতের জন্য ঝঞ্ঝাটমুক্ত হওয়া

নবম আমল : আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করা

দশম আমল : আল্লাহর পথে জিহাদ

একাদশ আমল : আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা

দ্বাদশ আমল : বিয়ে করা

ত্রয়োদশ আমল : অভাবের সময় আল্লাহমুখী হওয়া এবং তার কাছে দু‘আ করা

চতুর্দশ আমল : গুনাহ ত্যাগ করা, আল্লাহর দীনের ওপর সদা অটল থাকা এবং নেকীর কাজ করে যাওয়া।


প্রতিটি আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন


পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদের এসব উপায়-উপকরণ যোগাড় করে রিজিক তথা হালাল উপার্জনে উদ্যোগী ও সফল হবার তাওফীক দান করেন। তিনি যেন আপনাদের রিজিক ও উপার্জনে প্রশস্ততা দান করেন। আমীন।


6points ছয় নাম্বার(ঈমান,নামায, এলম ও জিকির)


আল্লাহর কোন বান্দা যদি আল্লাহর নিকট কবুল হতে চায় তবে আল্লাহ তার ডিগ্রি দেখেন না, সম্পদ দেখেন না, চেহারা দেখেন না, দেখেন তার সিফত বা গুন।
গুনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ গুন হল ঈমান।

ঈমান কি?

হুজুরে পাক (সাঃ) এর উপর পূর্ণ আস্থা থাকার কারণে তিনি আল্লাহর নিকট হতে যেসব গায়েবি খবর নিয়ে এসেছেন, সেগুলো বিনা দ্বিধায় নিশ্চিতরুপে মানিয়ে নেওয়া হল ঈমান।

ঈমানের কালিমাঃ-

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
অর্থঃ- নাই কোন মাবুদ আল্লাহ ছাড়া, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল।

ঈমানের উদ্দেশ্যঃ-

এই কালিমা আমাদের নিকট ৩ টি জিনিসের পরিবর্তন চায়।
১) একিনের পরিবর্তন
২) তরিকার পরিবর্তন
৩)জজবার পরিবর্তন

১) একিনের পরিবর্তনঃ-
মাখলুক হতে হওয়ার একিন দিল হতে বের করে একমাত্র আল্লাহ পাক হতেই সব কিছু হয় এই একিন দিলে পয়দা করা।
২) তরিকার পরিবর্তনঃ-
এক মাত্র রাসুল (সা) এর পাকিজা তরিকাতেই দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও কামিয়াবি এই একিন দিলে পয়দা করা আর সুন্নতের খেলাফ সব কিছুকে দিল থেকে ঘৃণা করা।
৩)জজবার পরিবর্তনঃ-
দুনিয়ার সুখ দুঃখও অস্থায়ী। আসল অনন্ত সুখ জান্নাতে। আসল দুঃখ কষ্ট জাহান্নামে। এজন্য মালমুখি জজবাকে আমাল মুখি করা আর দুনিয়া পাওয়ার জজবাকে আখিরাতে জান্নাত পাওয়ার জজবায় পরিবর্তন করা

ঈমানের লাভঃ-

যে জাররা পরিমাণ ঈমান নিয়ে কবরে যাবে আল্লাহ পাক তাকে ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত দান করবেন।

ঈমান হাছিল করার তরিকাঃ-

* দাওয়াত
*মশক
*দুয়া

*দাওয়াত
নিজের ঈমানকে বাড়ানোর নিয়তে যেখানে যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু থেকে হওয়ার কথা বলা হয় সেখানে সেখানে গিয়ে একমাত্র আল্লাহ পাক থেকে হওয়ার কথা, নবি(সাঃ) এর তরিকায় কামিয়াবির কথা আখিরাতের কথা বলব।

*মশক-
 ঘরে ও মসজিদে ঈমানী হালকা কায়েম করে ৪ কথার মুযাকারা করব।ঘরের বাচচাদের কেও শরিক করব।
->আল্লাহ পাক কুদরতওয়ালা, আল্লাহ পাক পালনেওালা, আল্লাহ পাক একাই সব কিছু করেন এই কথা বেশী আলোচনা করব।
->নবীগণের উপর আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে যে সব জাহেরের খেলাফ গায়েরি মদদ ও নুসরত এসেছে সেসব ঘটনা আলোচনা করব।
->সাহাবায়ে কেরামদের আল্লাহ পাকের উপর পূর্ণ আস্থা থাকার কারণে আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে যে সব গায়েবি মদদ ও নুসরাত এসেছে সেসব আলোচনা করব।
->কুরআন ও হাদিসে ঈমানের যেসব আলামত বর্ণিত হয়েছে সেগুলো আলোচনা করব আর সেই অনুযায়ী নিজের ঈমানকে যাচাই করব।

*দুয়া-
আল্লাহ পাকের কাছে বেশী বেশী দুয়া করব ইনশাআল্লাহ।

----***----



নামায 

নামায কি?

আল্লাহ তায়ালার খাজানা থেকে নেয়ার মাধ্যম হচ্ছে আমাল, আর আমালের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমাল হচ্ছে নামায।


নামাযের উদ্দেশ্যঃ-

নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার খাজানা হতে সরাসরি নেওয়া।

নামাযের লাভঃ-

যে বাক্তি সময়মত গুরুত্ত সহ নামায পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ জিম্মায় জান্নাত দিবেন।(সুবহানাল্লাহ)


হাসিলের তরিকা/ উপায়ঃ-

*দাওয়াত
*মশক
*দুয়া

/*/ দাওয়াতঃ-

কামেল নামাযের দাওয়াত বেশী বেশী দিবো।

/*/মস্কঃ-
   নামাযের বাহির কে ঠিক করার জন্য অজু থেকে শুরু করে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সকল ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব ভালো করে জেনে আমলে আনার চেষ্টা করতে থাকবো।

নামাযের ভিতরকে ঠিক করার জন্য প্রতি মুহূর্তে এই ধ্যান করবো যে আমি আল্লাহ তায়ালা কে দেখছি অথবা আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন।

যেকোনো হাজত বা হালতে নামাযে দাঁড়িয়ে যাবো আর এই একিন /বিশ্বাস রাখব যে নামাযের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমার সব হাজত/হালত পূর্ণ করে দিবেন।

/*/ দুয়াঃ-

আমারা সবাই যেন কবুল নামায পড়তে পারি সেজন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশী বেশী দুয়া করবো

---**---



এলেম ও জিকির 


এলেমের উদ্দেশ্য

এই মুহূর্তে আমার মওলা আমার কাছে কি চান প্রতি মুহূর্তে এই ধ্যান আমার মধ্যে পয়দা করা।

এলেমের লাভ

যে ব্যাক্তি এলেম শিক্ষা করার জন্য কোন পথ চলে আল্লাহ পাক তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।

এলেম হাছিল করার তরিকা/পদ্ধতি

** দাওয়াতঃঃ-
 এলেমের দ্বারা মূর্খতা দূর হয়। এজন্য আমরা উদ্দেশ্য , লাভ বলে বেশী বেশী দাওয়াত দিবো

**মশকঃ-
 প্রতি কাজে আল্লাহ পাকের হুকুম ও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নত তরিকা খোঁজ করব ও আমাল করতে চেষ্টা করব।

ফাজায়েলে এলেম তালিমে বসে শিখব।
মাসায়েলে এলেম আলেম ওলামাদের নিকট হতে শিখব।

**দোয়াঃ-
  বেশী বেশী আল্লাহের নিকট দোয়া করব

জিকিরের উদ্দেশ্য

 আল্লাহ তায়ালা আমার সাথে আছেন, সবসময় এই ধ্যানের সাথে চলা।

জিকিরের লাভ

যাহার জিহবা আল্লাহের জিকিরের দ্বারা তাজা থাকবে তাহারা হাসিমুখে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

জিকির হাসিলের তরিকা

-*- দাওয়াতঃ-

 উদ্দেশ্য  ও লাভ বলে বলে বেশী বেশী দাওয়াত দিবো।

-*-মশক

 অর্থের দিকে খেয়াল রেখে, ধ্যানের সাথে  প্রতিদিন সকাল বিকাল তিন তসবিহ আদায় করব।
আদব ও বিনয়ের সাহতে প্রতিদিন ১ পারা কোরআন তেলাওয়াত করব।
মাসনুন দোয়া গুলো শিখে আমাল করব

-*-দোয়াঃ-

 আল্লাহের কাছে দোয়া করব।