কিছু কি বোঝা যায়?

নারী সংক্রান্ত যেকোন আলোচনায় অবধারিতভাবে যে কথাটি উঠে আসবে তা হল-“অমুক অমুক বিধান মেনেও তো মেয়েরা তমুক তমুক সমস্যায় পড়ে”। এটা হল শয়তানের শয়তানি, চালবাজের চালবাজি আর ইসলামকে ফিশিং গেম জ্ঞান করে চুজ এন্ড পিকের ফল।
আগেও বলেছি, ইসলামের বিধানগুলো একটা অন্যটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা মানলে সমস্যা থেকেই যাবে। মাহরাম ছাড়া নারীরা সফর করবে না এটাই আদেশ, তাই বলে মাহরামকে নিয়ে যেখানে খুশি যাব আর সমস্যায় পড়ব না, তা না। কোনখানে যাওয়া যাবে আর কোনখানে যাওয়া যাবে না সেই ব্যাপারেও ইসলামের কিছু বলার আছে। টিএসসিতে নিগৃহীত হওয়া নারীর সাথে তার স্বামী ছিল, এই তথ্য মাহরাম থাকার প্রয়োজনীয়তা কমায় না। যে মাহরাম আপনাকে নিয়ে বখাটেদের ভিড়ে গমন করায়, সে আবার কীসের প্রটেক্টর? ফ্রি মিক্সিং এর স্বর্গরাজ্যে স্বেচ্ছায় নিজেকে ভাসিয়ে দিলে শুধু স্বামী কেন, বাকি তেরজন মাহরাম সাথে থাকলেও বিপদ এড়ানো যাবে না।
প্রথমত এবং প্রধানত, মেয়েরা ঘরের ভেতর থাকবে এটাই আল্লাহ্‌র হুকুম। শরীয়তসম্মত জরুরতে যখন বেরোবে তখন আপাদপমস্তক আবৃত থাকবে, নো সাজসজ্জা, নো পারফিউম; আর দূরত্ব বেশি হলে মাহরাম সাথে থাকা মাস্ট। এই অবধি বলার পর শয়তান আরেক যুক্তি এনে হাজির করবে-“অথচ মেয়েরা নিজের ঘরেও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তবে ঘরে থেকে লাভটা কী?”
আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে অন্তরের ধুলো সরান। মেয়েরা ঘরেও হ্যারসড হয় বটে। কাদের দ্বারা হয়? খালাতো-মামাতো-চাচাতো ভাই, দুঃসম্পর্কের চাচা-মামা ইত্যাদি দ্বারা। ইসলাম কিন্তু এও বলে দিয়েছে মেয়ের ঘরে এরা অ্যালাউড না, এরা গায়েরে মাহরাম, এদের সামনে দেখা দেওয়া যাবে না। অথচ কী অবলিলায় একঘরে তাদের রেখে বাপ-ভাই রা বেরিয়ে যায় বাসা থেকে, আর দুর্ঘটনা ঘটলে দোষ নাকি মোল্লাদের। এদের মস্তিষ্কে কী পরিমাণ আচ্ছাদন পড়েছে!
একটার পর একটা বিপদের আলামত দেখেও ইসলামের মধ্যে সমাধান না খুঁজে আল্লাহ্‌র একটার পর হুকুমকে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। বর্ষবরণের নামে শির্কের মচ্ছব পয়লা বৈশাখে নারী নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে একই জায়গায় আবার গাদাগাদি করে মেয়ে-পুরুষ জমা হল। যেন আল্লাহ্‌কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেওয়া-দেখো! তোমার ক্রোধের পরোয়া করি না, আমরা আবার তোমার অবাধ্য হব। এই দেশেই আল্লাহ্‌র রাসূলকে গালি দেওয়া কীটদের পক্ষে ব্যানার ধরতে বেরিয়ে যায় স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এই দেশেই মঙ্গল খোঁজা হয় হুতুম পেঁচার মধ্যে, দাবিদাওয়ার মাধ্যম হল অগ্নিপূজা, আর কথায় কথায় মোল্লাদের গালি দেওয়া। এক রাতে পাখির মত গুলি করে হুজুর মেরেও সাধ মেটেনি, ভবনধ্বস থেকে ব্যাঙ্ক ডাকাতি পর্যন্ত সব কিছুতেই হুজুরের বাম হাত খুঁজে পেতে হবে, দেশ নাকি জঙ্গিতে গিজগিজ করছে।
আর এই মুহূর্তে যখন আলেমদের দিকনির্দেশনা দেবার কথা, তখন তাঁরা বলেন অপেক্ষাকৃত কম খারাপ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে, ভোট না দিয়ে বসে থাকা নাকি নাজায়েয।
বারবার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। কিছু কি বোঝা যায়?
Collected From
Brother
Jubaer Hossain

নিয়ামত

"অবশ্যই তারা ভীষন অপরাধ করেছে যারা দুনিয়ায় ঈমানদারদের সাথে বিদ্রুপ করত" [সুরা আল মুতাফফিফিন:২৯]
"সেখানে সে কোনো বাজে কথা শুনবে না" [সুরা আল গাশিয়া:১১]
সুবহানআল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনের বিভিন্ন স্হানে জান্নাতের রক্ষিত বিভিন্ন পুরস্কারের বর্ণনা করেছেন।
সুরা গশিয়ায় -প্রবাহমান ঝরণা, উচু উচু আসন, পানপাত্র, সারিসারি গালিচা রেশমের বালিশ, উৎকৃষ্ট কার্পেটের বিছানা উল্লেখ করেছন।
তবে এসব কিছুর আগে যে বিষয়ের কথা বলা হয়েছে তা হল সেখানে কোন বাজে কথা আমরা শুনবনা।
অর্থাৎ খোটা কথা, গালাগালি, টিটকারিমূলক কথা, যা দ্বীনের পথে চলা শুরু করার পর হয়তো কম বেশি প্রায়ই আমাদের শুনতে হয় বা হয়েছে। যা আমাদের মানসিক কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে যথেষ্ট।
এমন কষ্টকর মুহুর্তে কুরআনের আয়াতগুলো আমাদের স্মরণে আনতে হবে ইনশাআল্লাহ। বুঝাতে হবে যে আমার আল্লাহ জানে আমার মানসিক কষ্টের কথা, এমন কষ্টে আমি একা পরিনি। এমন কষ্ট অনুভব করেছিলেন সাহাবারাও, আলেমরাও, আবেদরাও। যারাই দুনিয়ার উপর আল্লাহকে ভালবেসেছে, দুনিয়া প্রেমীরা তাদেরই নানান অসার কথা, কটু বাক্যের দ্বারা তীরের মত বিদ্ধ করেছে। তাই তো জান্নাতের অশেষ নিয়ামতের মাঝে যেই কিছু সংখ্যক নিয়ামতের বর্ণনা আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন এটা তার মাঝে অন্যতম একটি নিয়ামত।
আল্লাহ আমাদেরকে তার অশেষ নিয়ামত উপলব্ধি করার তাউফিক দিক, ধৈর্য্য দিক এবং আমাদের অন্তরকে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়কারি অন্তর হিসেবে কবুল করে নিন। আমিন।
Collected From
A Sister

মহানবি <সা> এর প্রতি প্রকৃত ভালোবাসার নিদর্শন



মহানবি <সা> এর জীবনধারা সকল মানুষের জন্য উজ্জ্বলতম আদর্শ। তাঁর অনুসরনই আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ করার একমাত্র মাধ্যম এবং ইহকালিন কল্যাণ ও পরকালিন নাজাত লাভের একমাত্র উপায়।

নবি <সা> এর প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকা দরকার সেই বিষয়ে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন,

আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহ্‌কে মহব্বত করতে চাও, তাহলে আমাকে ( নবি <সা:> এর) অনুসরন কর। আল্লাহ তোমাদের কে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সুরা আল ইমরান - ৩১
রাসুল <সা> বলেছেন,

যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে অন্যমনস্ক হল বা আমার সুন্নতকে অপছন্দ করল, তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। (বুখারি- মুসলিম)
এ থেকে বোঝা যায় যে, রাসুল <সা> এর প্রতি ভালোবাসার প্রকৃত নিদর্শন ,তাঁর সুন্নতের অনুসরনের মধ্যে নিহিত। কোন ব্যক্তি নবি <সা> এর মহব্বতের দাবিদার, কিন্তু সুন্নতের অনুসরনে ঘাটতি, তবে সে তার দাবিতে সত্যনিষ্ঠ নয়।

মহা নবি <সা> এর উচ্চ মর্যাদা এবং তাঁর অবমাননায় আমাদের করনীয় :
আল্লাহ পাক বলেন,

আমি আপনার আলোচনাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছি। সুরা ইনশিরাহ- ০২
অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক নবি <সা> কে সুউচ্চ মর্যাদা দান করেছেন।

এবং যারা নবি <সা> এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে, তাদের প্রতি আজাবের কথা  জানিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেছেন,

তোমাদের মধ্যে যারা ইমানদার, তাদের জন্য রাসুল <সা> রহমত স্বরূপ, আর যারা আল্লাহর রাসুলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনা দায়ক আজাব। সুরা তউবা - ৬১

লক্ষণীয় :
বর্তমানে বিশ্বব্যাপি নব্য ক্রুসেড  শুরু হয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের বিশ্বাসে আঘাত করা।  এর ধারাবাহিকতায় অবিশ্বাসীরা নানা ভাবে নবি <সা> এর নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক

ভাবে মুসলমানদের মধ্যেও কিছু লোক শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তাদের সাথে যুক্ত হয়ছে।

 আল্লাহ পাক বলেছেন,
আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন। সুরা মায়িদা- ৮২

এজন্য তাদের উস্কানিতে উত্তেজিত না হয়ে, সর্বোচ্চ সংযম, উপযুক্ত ও কল্যাণমুখি  কর্মকৌশল দ্বারা তাদের চক্রান্তের মোকাবেলা করতে হবে।
নবি <সা> এর  সুন্নতের অনুসরন দ্বারা আমাদের জীবন সাজাতে হবে।  আল্লাহ  পাক আমাদের তৌফিক দান করেন। আমিন।