বদমাশ উচ্চ শিক্ষিতদের জায়গায় অল্প বিজ্ঞান জানা মাদ্রাসার ভদ্র ছাত্র হলেও ভালো

শিক্ষকদের উপর ছাত্রদের হামলা করতে দেখে একটি পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। বর্তমান পেশায় আসার আগে আমি কিছুদিন একটি মাদ্রাসায় অনারারী ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে পড়াতাম। ঐ মাদ্রাসা ছিল মূলত নও মুসলিমদের সন্তানদের জন্য। এদের মাঝে অনেক উপজাতি ছিল। ওইখানে অল্প সময়ে কিছু অভিজ্ঞতা হল যা না বলে পারছি না।
দুপুরে খাওয়ার বিরতির সময় আমরা শিক্ষকরা মেঝেতে মাদুর পেতে খেতাম আর আমাদের জুতা বাইরে থাকত। ঘরে ঢুকার সময় জুতা যখন খুলতাম তা ঘরের দিকে মুখ করা থাকত। কিন্তু যখন বের হতাম দেখতাম জুতা বাইরের দিকে মুখ করে রাখা আছে। এইভাবে কয়েকদিন দেখার পর জানতে চাইলাম ঘটনা কি? কে এই কাজ করে? জেনে অবাক হলাম ছাত্ররাই অইদিক দিয়ে যাওয়ার সময় জুতাগুলো এভাবে সাজিয়ে দেয় যাতে শিক্ষকরা জুতা পড়তে সামান্য উল্টা ঘুরার কষ্টটাও না করেন। সুবহান'আল্লাহ!!!!!!!!!
ঐ মাদ্রাসা চট্টগ্রামের একটি পাহাড়ি এলাকায় ছিল। পানির ভাল ব্যবস্থা ছিল না। অজু করতে একটু নিচে নলকূপের কাছে যেতে হত। কিন্তু ওজুর সময় হতেই দেখি উপরে পাথরের পাশে বালতি আর বদনা পানিতে পূর্ণ করে সাজিয়ে রেখেছে ছাত্ররা। একদিন একটু আগে অজু করতে গিয়ে দেখি পানি নাই। দূর থেকে এক ছাত্র দেখেই দৌড় দিল। পানি এনে তো দিলই উল্টা কেন পানি ছিল না এজন্য মাফ চাইতেছিল। পুরা কান্নাকাটি করার অবস্থা। অথচ এর জন্য ওকে শাস্তি পেতে হবে তা কিন্তু নয়। খুব জীর্ণ, শীর্ণ ছিল ঐ মাদ্রাসা। কারণ টাকা দেয়ার কেউ ছিল না। কিন্তু ঐ অসাধারণ মার্জিত আর উন্নত চরিত্রের বাচ্চাদের মাঝে আমার মনে হত এর চেয়ে সমৃদ্ধ জায়গা আর কোথাও নাই। পড়াশোনাতেও এই বাচ্চারা খুব ভাল ছিল। পর্যাপ্ত সুবিধা পেলে অনেক ভাল করতে পারত।
আজকে বিপুল আর্থিক সুবিধাসহ দেশের সবচেয়ে ভাল বিদ্যাপীঠের স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্ররা শিক্ষক পেটায়। কি এর কারণ?
কারণ তো একটাই যে এই পুঁজিবাদী সিস্টেম তাদের কেবল অর্থের হিসাব আর বেয়াদবি শিখায়। প্রতিবছর আমাদের মত কিছু আদব কায়দা না শিখা শিক্ষিত দেশের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে (আমরাও ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে আসা লোক)।

সংগৃহীত

সুত্র 

psychological enslavement

মুসলিম জাতিকে কুরআনে শ্রেষ্ট জাতি এবং কাফিরদেরকে loser হিসেবে বারবার অভিহিত করা সত্ত্বেও মুসলিমরা অনেকাংশই কাফিরদেরকে আদর্শ হিসেবে মনে করে এবং বিপজ্জনকভাবে তাদেরকে অনুসরণকেই শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। এটাই হল মুসলিমদের psychological enslavement বা মনস্তাত্ত্বিক দাসত্ব।
যে হাতিকে জন্ম নেওয়ার পর থেকে একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার অভ্যাস করে বড় করা হয়, বড় হওয়ার পরেও তাকে সেই চিকন দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা যায়। তার শক্তিশালী শরীর চাইলেই ঝটকা দিয়ে দড়িটাকে নিমিষে ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কিন্তু তা সে করে না। কারণ সে তার দড়ি-বাঁধা অবস্থাকে মেনে নিয়েছে এবং সে জানেও না তার দড়ি ছেঁড়ার ক্ষমতা আছে।
মুসলিমদের অবস্থা এখন হয়েছে এমন। কাফির সভ্যতার চাকচিক্যে আচ্ছন্ন হয়ে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব, গৌরবময় ইতিহাস ও সম্ভাবনার কথা তাদের মন থেকে বিস্মৃত হয়ে গেছে।