নিজে হাতে আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছেন না তো??

বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি বড় ফিতনার নাম হচ্ছে Wedding Photography. এটা যে কত বড় ফিতনা এটা যে প্রত্যক্ষ করে নাই সে কখনো চিন্তাও করতে পারবেনা। এক কথায় বলতে গেলে- লাক্স চ্যানেল আই মডেলদের নিয়ে ফটোগ্রাফাররা যেভাবে খেলে ঠিক সেইভাবে চার পাঁচ জন ফটোগ্রাফার নববধূকে নিয়ে খেলে। কখনো এতো কাছ থেকে ফোকাস করে যে.....................কিছু কিছু বিয়েতে নাকি এমনও হয় ফটোগ্রাফার নববধূর গায়ে হাত দিয়ে কাপড় ঠিক করে দেয়, দাঁড়ানোর ভঙ্গি ঠিক করে দেয়। নায়ুজুবিল্লাহ।
যে মেয়েটার ইসলামের বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই কিন্তু সাধারণত পর্দা করার চেষ্টা করে তাঁকেও তার বিয়ের দিন চার পাঁচটা বেগানা ফটোগ্রাফারের সামনে মডেল হিসেবে ঠেলে দেওয়া হয়। কাজটা কখনো তার ইচ্ছায় হয় আবার কখনো অনিচ্ছায়।
বিয়ের মতো একটি পবিত্র বন্ধন এবং ইবাদতে অশ্লীলতার এই জঘন্য পর্যায় কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই এখনই আমাদেরকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে, করতে হবে, নিজের পরিবার থেকেই এই সচেতনতা শুরু করতে হবে।
আর আপুদেরকে বলি, আপনি কি চান বিয়ের পর আপনার সংসার জীবন সুখী হোক?? জানি বলবেন, কে না চায়??
যদি চান তাহলে এটা কিভাবে আশা করেন, যে বন্ধনের, ইবাদতের শুরুই হচ্ছে অশ্লীলতা দিয়ে, আল্লাহর চরম অবাধ্যতা দিয়ে সেখানে আল্লাহর রহমত থাকবে, দয়া থাকবে। আর আল্লাহর রহমত ছাড়া, দয়া ছাড়া সংসার জীবনে সুখী হওয়ার এই অবাস্তব স্বপ্ন কিভাবে দেখেন???
তাই বিয়ের দিন নিজেকে মডেল হিসেবে এইসব বেগানা ফটোগ্রাফারদের সামনে নিজেকে সপে দেওয়ার আগে একটি বার চিন্তা করুন, নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতেছেন না তো??, নিজে হাতে আল্লাহর রহমত থেকে নিজেকে বঞ্চিত করছেন না তো??

আমরা অমুসলিমদেরকে নবীজির দেখানো পন্থায় ইসলামের দিকে আহবান করবো

সুবহান আল্লাহ! আজকে নাকি "হিজাব দিবস"
অনেক মুসলিম বলে, "এভাবে ইসলাম নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে ক্ষতি কি? অমুসলিমেরা হিজাব সম্পর্কে জানবে, আগ্রহী হবে। একদিন যদি তারা হিজাব করে, তাহলে মন্দ কী?"
ওয়াল্লাহি, যদি এই "হিজাব ডে" আমাদের দ্বীনের প্রচার-প্রসারের জন্য "উত্তম" কিছু হতো, তাহলে অবশ্যই নবীজি ﷺ সেটার ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু নবীজি কি তা করেছিলেন? আবু বকর আর উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম হিজাব দিবস করেছেন? সাহাবীরা কখনও হিজাব দিবস, ইসলাম দিবস করেছেন?
সাহাবীরা ছিলেন হাতে-গোণা কজন মুসলিম। সারা বিশ্বে অমুসলিমদের ছড়াছড়ি। কোথায় তারা তো ইসলাম শেখানোর জন্য হিজাব-ডের মতো কোন দিবস আবিষ্কার করে বসেন নি।
ইসলামের শ্রেষ্ঠ জেনারেশন হলো সাহাবীদের জেনারেশন। তাদের ঈমান ছিল সবচাইতে বেশি, তাদের জ্ঞান ছিল সবচাইতে গভীর এবং তাদের ইসলামের বুঝ ছিল সবচাইতে সঠিক। কিন্তু তারা কেউ "ইসলামের ভালোর" জন্য হিজাব দিবস করেন নাই। আজকের মুসলিমদের ইজ্জত এতো কমে গেছে, যে দ্বীন ইসলামের বিধানকে তারা অমুসলিমদের হাসি-তামাশার বস্তু হতে দেখেও খুশি হয়ে পড়ছে!
ওয়াল্লাহি, ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য আল্লাহর বিধানকে মানুষের ইচ্ছার অধীন করে দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যারা মুসলিম, তাদের ওপর অটোমেটিকালি হিজাব ফরয। তারা কেন একদিনের জন্য হিজাব পরবে? আর যারা কাফের, তাদেরকে একদিন হিজাব পরে পরদিন খুলে ফেলবে - এই কাজ আমরা কীভাবে সহ্য করতে পারি? ক'দিন পর কাফেররা বলবে, "আমরা এক দিনের জন্য মুসলিম হবো", সেটাতেও কি আমরা মুসলিমরা সন্তুষ্ট হয়ে পড়ব? - "একদিনের জন্য মুসলিম হলে ক্ষতি কি?"
আল্লাহ আমাদের মাফ করুক। দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসার হবে ইজ্জতের সাথে। সাহাবীরা যেভাবে করেছেন ঠিক সেভাবে। তারা দেশের পর দেশ বিজিত করেছেন। এরপরে জনসমক্ষে ইসলামের কথা বলেছেন। আর তখন স্থানীয় বাসিন্দারা সহজাতভাবেই বিজয়ী দলের দিকে আকৃষ্ট হয়ে দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেছে। যারা ইসলাম গ্রহণ করে নি, তারাও আল্লাহর আইনকে সর্বোচ্চ মেনে নিয়ে জিযিয়া প্রদান করেছেন।
আল্লাহর দ্বীন কোন দিবসের কাছে ঠেকা নয়। আমরা মুসলিমরা অমুসলিমদেরকে দাওয়া দিয়ে ইসলামের দিকে আহবান করি, করবো। আমরা অমুসলিমদেরকে নবীজির দেখানো পন্থায় ইসলামের দিকে আহবান করবো। হিজাব সম্পর্কে জানার জন্য সকল অমুসলিমকে আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু পশ্চিমাদের "দিবস কনসেপ্ট" ধার করে ইসলাম জানাতে হবে এই মশকরা থেকে দূরে থাকতে চাই।
Collected From
Sister
Anika Warda Tuba