ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ২৮ ( বিদায় রামাদান )

১। অভিনন্দন তাদের, যারা পরিচ্ছন্ন আমলনামা হাতে রামাদান পার করেছে, যারা রামাদানে অশ্রু বর্ষন করেছে, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক কে উপভোগ করেছে।


২। সৌভাগ্যবান সেই, যে রামাদানকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সাথে নতুন সম্পর্ক  গড়তে পেরেছে।


৩। রামাদান চলে যাচ্ছে, কিন্তু আল্লাহর আনুগত্য, তেলাওয়াত, দুয়া, এই অভ্যাসগুলো যেন আমাদের ছেড়ে না যায়।


৪। রামাদানের শেষ দিন গুলোতে সর্বোচ্চ প্রচেস্টা দিবো ইন শা আল্লাহ।


৫। রামাদান পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নিবো।

 ৬। আমরা যেনো এমন না হই - সুরা নাহল (১৬) আয়াত ৯২


৭। শয়তানকে কখনই তার প্রতিজ্জা পুরনের সুযোগ দিবো না। সুরা ইসরা (১৭) আয়াত ৬২


৮। অন্তরকে পবিত্র রাখার প্রচেষ্টা জারি রাখা।


৯। হতে হবে ঈমান দার মুসলিম, ইহসানি মুসলিম, রাব্বানি মুসলিম।


১০। আমল কবুলের জন্য দুয়া করব।


১১। বছরের বাকি দিনেও ইবাদাতগুলো যেন মিস না হয়, তাকওয়া যেন বছর জুরে আমাদের জীবনের অংশ হয়ে থাকে।

ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ২৩-২৪-২৫ ( জিহ্বার সংযম )



১। রামাদানের গুরুত্বপুর্ন শিক্ষা- মিথ্যা, জুলুম, গীবত হতে দূরে থাকা। এগুলো সাওম পালন এর অন্তর্ভুক্ত।


২। জিহ্বা সংযত না রাখলে সাওম পালন করেও প্রাপ্তি শুন্য। সাওম ভঙ্গ না হলেও আজর/ সওয়াব বঞ্চিত হতে হয়।


৩। রামাদান ট্রেনিং গ্রহনের সময়। নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সময় । যেন বাকিসময় গুনাহ থেকে দূরে থাকা যায়।


৪। সাওমে ঘুমিয়ে থেকেও সওয়াব পাওয়া যায়, কিন্তু যখন ই মিথ্যা/ গীবত করা হবে, তখন ই  সওয়াব প্রাপ্তি বন্ধ হয়ে যাবে।


৫। ভুল হবেই, তবে সাথে সাথে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করা, সরল পথে চলতে শুরু করা।


৬। তাকওয়া ( সাওম এর অর্জন) হলো ঈমানি প্রতিরোধ ক্ষমতা।


৭। নিজ জিহ্বা সংযত না থাকলে নিজের নেক আমল অন্যদের দিয়ে দেয়া হয়।


৮। কারো দোষ নিয়ে তার আড়ালে কথা বলে গীবত। (যদিও সেই দোষ তার থাকে)


৯। গীবত শোনা থেকেও দূরে থাকা. 

 

১০। গীবত/ গুজব থামিয়ে দেয়া।

বিস্তারিত অডিও লিঙ্ক 


পার্ট ১ (১৪মিনিট)
পার্ট ২ ( ১৪মিনিট)

পার্ট ৩ ( ১৭মিনিট)

ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ২৬- ২৭ ( ইযযাহঃ সম্মান কেবল ইসলামে )

 ১। রামাদানে অনেক কিছু শেখা যায়, যার মধ্যে জরুরী শিক্ষা হচ্ছে, ইবাদাত আর  আধ্যত্নিকা।


২। ইসলাম মর্যাদার ধর্ম, অধ্যবসায় আর কঠোর পরিশ্রমের ধর্ম, মাথা উচু করে চলার ধর্ম।


৩। মানুষ যখন  তার নিজের নফস বা প্রবৃত্তির উপর বিজয়ী হতে পারে, তখনই সে নিজের জন্য চূড়ান্ত সম্মান অর্জন করে। 


৪। ইযযাহ / সম্মান অর্জনের গোপন সুত্রঃ ইবাদাত করা, হারাম ত্যাগ করা।


৫। যদি তুমি কিছু চাও, আল্লাহর কাছে চাও। 


৬। আমরা সেই জাতি, যাদের  আল্লাহ ইসলাম দিয়ে সম্মানিত করেছেন। যদি আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সম্মান খুজি, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের কে অপমানিত করবেন।


৭। সুরা ফাতির ৩৫ আয়াত ১০  বিস্তারিত।


৮। দ্বীন ইসলাম নিয়ে হীনবল হবেন না।


৯। ইযযাহ হলো দুর্বল অবস্থাতেও  আপোষ না করা, ছাড় না দেয়া। ( হযরত বিলাল রাঃ এর উপর জুলুম আর তার আহাদ আহাদ উচ্চারন)


১০। ইযযাহ মানে মানুষ কে ভয় দেখানো নয়। ইযযাহ মানে মর্যাদা ও প্রতিপত্তি, যা মানুষের মনে সমীহ জাগায়।


১১। ইযযত তো আল্লাহ,তার রাসুল ও মুমিনদেরই কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না। সুরা মুনাফিকুন ৬৩, আয়াত ০৮

বিস্তারিত অডিও এখানে ( ১৭ মিনিট) এবং এখানে ( ১৭ মিনিট)

ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ২০ ( লাইলাতুল কদর )



১। আল্লাহ অজস্র সুযোগ দেন, যেন বান্দা তার গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে।


২। রামাদানের মধ্যে সবচেয়ে ফযিলতপুর্ন সুযোগ লাইলাতুল কদর এর রাত।


৩। এটাই জীবনের সবচেয়ে খুশির রাত হওয়া উচিত।


৪। এই রাত এর সুবর্ন সুযোগ হারানো উচিত নয়।


৫। এই রাতে সব ধরনের ইবাদাত সাধ্যমত করার চেস্টা করা।


৬। আল্লাহ পাকের সর্বোচ্চ সম্মানজনক ক্ষমা পেতে চাইলে মেহেনত করে যেতে হবে। 

বিস্তারিত অডিও এখানে  (২৬ মিনিট )




ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১৯ ( রামাদানের শেষ ১০ দিন )

 ১। আল্লাহর রহমত পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে যেন কোন নেতিবাচক চিন্তা কাজ না করে।

বরং আল্লাহর রহমতের আশায় নিজেদের সর্বোচ্চ চেস্টা করে যাওয়া।

২। আমরা যদি নবি সাঃ কে আমাদের সাধ্যমত অনুকরন না করি, এটা নিজের সাথে প্রতারনা করা হবে।

৩। সবচেয়ে উপযোগী ইবাদাত কোনটি? বিস্তারিত > এখানে 

৪। ইবাদাতে পরিবারের সদস্যদের শামিল করা।

৫।  আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। এটা অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পর্ক।

৬।  সব কিছু হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন এর চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না।

৭। ইতিকাফ অন্তরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নেওয়ার ট্রেনিং।

৮। যুবক অবস্থাতেই আল্লাহর ইবাদাতে আত্মনিয়োগ করা উচিত।

৯। রামাদানের দিন গুলা যেন বছরের অন্য সাধারন দিনের মত চলে না যায়।

১০। আমরা কেউ জানি না, আগামি রামাদান আমরা পাবো কিনা। কবরে আমাদের কি অবস্থা হবে।

১১। আল্লাহর ইবাদাতে দ্রুততার সাথে এগিয়ে আসব ইন শা আল্লাহ।

 

বিস্তারিত অডিও এখানে (২৯ মিনিট )

 

ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১৭ ( সাওম এর মিষ্টতা )

 ১। সাওম ফরয করা হয়েছে তাকওয়া অর্জনের জন্য।

২। সাওম এর উপরের স্তর হলো সাওম কে উপভোগ করা,সাওম এ আনন্দ খুজে পাওয়া। বিস্তারিত এখানে 

৩। যে কোন ভালো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করলে সেই কাজে কষ্ট অনুভুত হয় না।

৪। তাওহীদ কে পুর্ন রুপে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে সাওম পালন এর দ্বারা।

৫। সাওম শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহ যদি সাওম কবুল করে নেন, তবে কোন কষ্ট ব্যাপার নয়।

৬। নিয়ত, লক্ষ্য, প্রেরনা হবে এক আল্লাহর উদ্দ্যেশ্যে, আল্লাহ কে ভালবাসা আর আল্লাহ কেই সন্তুষ্ট করা। 

৭। এই দুনিয়াতে কষ্ট , ত্যাগ স্বীকার করার মাধ্যমে আমরা জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে পৌছাবো ইন শা আল্লাহ

৮। ইয়া রব্বি , সাল্লিম, সাল্লিম

 

বিস্তারিত অডিও এখানে (২১ মিনিট )

ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১৬ ( সাদাকা এর উপকার )

 ১। রাসুল সা ছিলেন বহমান বাতাসের চাইতেও উদার। বিস্তারিত অডিও এখানে 

২। রামাদান মানেই কুরআন আর দান সাদাকার মাস।

৩। দান করার সময় নম্র হতে হয়, আল্লাহ দান করার তৌফিক দান করেছেন। সুরা বাক্কারা  আয়াত ২৭২

৪। দানের দ্বারা নিজের উপকার।

৫। কোন ভালো আমলকে ছোট করে দেখবেন না। সুরা আলে ইমরান ৩ আয়াত ৯২ ঃ সুরা যিলযাল ৯৯ আয়াত ৭

৬। সাদাকায় সম্পদ কমে না।

৭। সাদাকা ঈমান, আমলকে বিশুদ্ধ করে।

৮। সাদা্কার সৌন্দর্য হচ্ছে গোপনীয়তা।

৯। সাদাকা নিজের জন্য। সুরা বাক্কারা আয়াত ২৭২


বিস্তারিত অডিও এখানে (২৪ মিনিট )

ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১৫ ( কুরআন এর শক্তি ও প্রভাব))

 ১। আল কুরআন অন্তর পরিবর্তনকারী।

২। কেন এই কুরআন আমাদের অন্তরকে আন্দোলিত করে  না? কারন আমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গিয়েছে।  ( সুরা বাক্কারা আয়াত ৭৪ )

৩। কুরআনের আলোয় অন্তরকে আলোকিত করে নেয়া জরুরী। 

৪। কুরআন বোঝার চেস্টা করা, চিন্তা ভাবনা করা। ( ইবনু কাসির)

৫। তিলাওয়াতের মাধ্যমে কুরআন এর সাথে সম্পর্ক করা।

৬।  কুরআন শোনা থেকে বঞ্চিত না থাকা।

৭। কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য কুরআন এর ভুমিকা ?

৮। কুরআন হতে দূরে সরে যাওয়ার প্রভাব?  (সুরা ত্ব হা ২০ আয়াত ১২৪)

হে আল্লাহ

আমাদের অন্তর, কবর, ঘরগুলা কে কুরআন এর আলোতে আলোকিত করে দিন। আমিন 

বিস্তারিত এখানে (২০ মিনিট )