দুনিয়ার সবকিছু যদি মধুমাখাও হয় কিন্তু আপনি, আমি জাহান্নামে গেলাম, কি ফায়দা হলো?
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১৪ ( কুরআন কে বন্ধু বানান)
** কুরআন এবং রামাদানের মাঝে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। সুরা বাক্বারা আয়াত ১৮৫
** আজকে উম্মতের এগিয়ে থাকা লোক তারা, যারা এক রামাদানের পর আরেক রামাদান আসার আগে কুরআনের উপর ধুলা জমতে দেয় নি। কুরআনের সাথে নিয়িমিত সম্পর্ক বজায় রাখে।
** কেউ যদি বুঝতে পারে কুরআন কি জিনিস, তার আর কিছু দরকার নাই। ( বিস্তারিত অডিও তে )
** আর কেউ নাই, যে কুরআন থেকে ভালো বন্ধু হতে পারে।
** রামাদান মাসে কুরআন-- আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার সুযোগ।
** যতটুকু পারব ততঃটুকু দিয়ে শুরু করব আর রামাদানের পরের সময়ে চালু রাখব।
** কুরআন কে বন্ধু বানাই, আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপনের এই রশিকে ( কুরআনকে ) আঁকড়ে ধরব।
বিস্তারিত এখানে (২০ মিনিট )
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১৩
** আল্লাহর সাথে যে ব্যবসা করতে চায়, তার সবসময় ফিকির থাকবে , কী করে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা যায়। সুরাহ ফাতির( ৩৫), আয়াত ২৯
** বেশিরভাগ মানুষ কিছু ইবাদাতে আটকে যায়, ফলে অনেক ইবাদাত সময়ের সাথে অপিরিচিত হয়ে পড়ে।
** রামাদান হলো নিজের উন্নতি ঘটানোর ঈমানী থেরাপি।
** হারিয়ে যাওয়া এক ইবাদাত হলো ফজরের আগে ইস্তেগফার করা।ইস্তিগফারের দ্বারা দুনিয়া আর আখিরাত উভয় জীবনে সফলতা লাভ করা যাবে। সুরা হুদ (১১)আয়াত ০৩
** হারিয়ে যাওয়া আরেক ইবাদাত হলো তাফাক্কুর( গভীর চিন্তাভাবনা করা) সুরাহ আলে ইমরান আয়াত ১০৯/১৯১
++ তাফাক্কুরের দ্বারা বদ্ধ অন্তর উন্মুক্ত হয়।
++ আল্লাহর প্রতি ভয়, আশা,ভালবাসা, নির্ভরতা, ক্ষমাপ্রার্থনা বৃদ্ধি করে।
++ কঠিন হৃদয়কে নরম করে।
++ বিনয়ী করে।
++ ভালো কাজে অনুপ্রেরনা দেয়।
++ কলবের ময়লা দূর করে।
/++\ দুনিয়া নামক এই জেলখানার দুশ্চিন্তা দূর করতে কাজে লাগে।
** হারিয়ে যাওয়া আরেক ইবাদাত -- তাবাত্তুল
দিনের কিছু সময় দুনিয়া থেকে আলাদা হয়ে আল্লাহর কাছে একান্তে ইবাদাত করা। সুরাহ মুজ্জাম্মিল (৭৩) আয়াত ০৮
আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন
বিস্তারিত ভিডিও লিঙ্ক এখানে ।
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১১ - ১২
যে তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।
** কুরআন শুরু আর শেষ হয়েছে দুয়া দিয়ে। ( সুরা ফাতিহা ও সুরা নাস)
** দুয়ার দ্বারা চেয়ে নিতে হবে।
** গুনাহ থেকে সরে আসতে হবে, সাথে দুয়া করে যেতে হবে।
** দুনিয়ার মাঝে ডুবে থাকা হৃদয় নিয়ে দুয়া করছি, নাকি ইমানদার হৃদয় নিয়ে দুয়া করছি?
** রামাদান মাস দুয়া কবুলের মাস। মনের কোন জড়তা ছাড়া দুয়া করব। এই বরকত ময় সময়েও আল্লাহ দুয়া ফেরত দিবেন না।
** রাতের বেলার তীর ( তাহাজ্জুতের সালাতের দুয়া) শান দেয়ার মাস রামাদান, এমন তীর যা কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।
** সবকিছুর জন্য আন্তরিক দুয়া-ই যথেষ্ট।
** দুয়া নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করলে দুয়া বিফলে যায়।
** শেষ রাতের দুয়া এমন এক তীর, যা লক্ষ্যচ্যুত হয় না।
** দুয়া- আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আর বান্দার মধ্যকার সংযোগ।
রামাদান দুয়ার মৌসুম।
বিস্তারিত (১৬ মিনিট) এখানে ১ ( ১০ মিনিট) এখানে ২
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ১০
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান
আল্লাহ ফিরিয়ে দেবেন না
** সুরা বাকারা আয়াত ১৮৩, ১৮৪, ১৮৫ ১৮৭ রামাদান সম্পর্কিত, মাঝে ১৮৬ আয়াত টি দুয়া সম্পর্কিত, এখানে রামাদানে দুয়ার গুরুত্ব অবহিত করা হয়েছে।
** রামাদান দুয়ার মাস। রামাদান দুয়া কবুলের উত্তম সময়।
সকল সময় দুয়ার জবাব দেয়া হয়। তবে কিছু সময়ে দুয়া কবুলের পসিবিলিটি বাড়ে।
** দুয়া কবুলের বিশেষ সময় খুজে দুয়া করব।
** মাঝে মাঝে দুয়ার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা যায়।যেমন অজু করে২ রাকাত নামাজ পড়ে কিবলামুখি হয়ে দুয়া করা।
**অতি উচ্চ বা নিম্ন স্বরে দুয়া না করা। সুরাহ আল ইসরাহ (১৭) আয়াত ১১০
**আল্লাহ দুয়া কবুল করবেন এই দৃঢ় সংকল্পের সাথে দুয়া করব।
** গাফেল অন্তরের দুয়া কবুল করা হয় না।
** ক্রমাগত দুয়া করতে থাকা। রাতারাতি দুয়া কবুল না হলে দুয়া ছেড়ে না দিয়ে দুয়ার পরিমান আরো বাড়িয়ে দেয়া।
** দুয়ার শুরুতে, মাঝে, শেষে দরূদ পড়া
** অন্তরের আমল করে দুয়া করা। দুয়ার আগে তাওবা করা, অন্যের হক আদায় করা, সাদাকা করা,
** নির্যাতিত, অবহেলিত মুসলিমদের দুয়াতে শরিক রাখা।
** আল্লাহর দরজা কখনো বন্ধ হয় না।
বিস্তারিত ( ১৯ মিনিট) এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ৯
** মা তার সন্তানের প্রতি যতটা দয়াশীল, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি তার চেয়েও বেশী দয়াশীল।
** কখনো হতাশ হবেন না।
** ছোট / বড় যে কোন গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিবেন যদি আন্তরিকতার সাথে তওবা করি।
** রামাদান তাওবার জন্য শ্রেষ্ঠ সময়।
** তাওবা সতকর্মশীলদের জন্য এক স্বান্তনা।
** ওযু করে ২ রাকাত সালাত আদায়ের মাধ্যমে তওবাকে আরো বেশি প্রানবন্ত করে তোলা যায়।
** রামাদান হলো সমৃদ্ধি অর্জনেরসময়।
** নিজের ভালো কোন আমল নিয়ে অহংকার করব না।
** পরবর্তিতে আবার গুনাহ করব এই চিন্তা মাথায় রেখে তওবা করলে তওবা কবুল হয় না। আন্তরিকতার সাথে তওবা করতে হয়।
** বান্দার আন্তরিক তওবায় আল্লাহ খুশি হোন।
** সুরা আশ শুরা (৪২) আয়াত ৩০
বিস্তারিত ( ১৫ মিনিট ) এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ৮
তাওবা ও ইনাবা
* প্রতিনিয়ত আল্লাহকে খুশি করার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকা, বারবার আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া। ক্রমাগত তাওবা করতে থাকা।
* মানব হৃদয় কে আল্লাহর দিকে ছুটে যেতেই হবে। এতে মানুষের জন্য সম্মান নিহিত।
* সর্ব অবস্থায় আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়াই ইনাবা।
* সবচেয়ে বেশি আশা জাগানিয়া আয়াত ---- সুরা যুমার (৩৯) আয়াত ৫৩-৫৪
* ইনাবার ৩ স্তর। ৩য় স্তর অর্জন করা রামাদানে আমাদের লক্ষ্য।
* গুনাহ অন্তরকে শক্ত করে দেয়। সুরা বাক্বারা আয়াত ৭৪
* তাওবার দ্বারা অন্তর ক্লিয়ার করতে রামাদানের মত বরকতময় সময় আর নাই।
* রামাদানে খাবারের আয়োজনের চাইতে তাওবা, ইস্তিগফার, আর ভালো আমল করা কি বেশি জরুরি না?
* সবচেয়ে জঘন্য মাত্রার ধ্বংস হলো , গুনাহ করে তাওবা না করা, গুনাহের উপর অবিচল থাকা।
* বার বার ভুল করলেও হতাশার কিছু নাই। বারবার তাওবা করব, এটা শয়তানের পরাজয়। নিরাশ হয়ে তাওবা ছেড়ে দেয়া হলো শয়তানের জয়।
* খারাপ আর গুনাহের সাথে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
বিস্তারিত (১৬ মিনিট ) আলোচনা এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ৭
** এমন যেন না হয়, বরকতময় রামাদান এসে চলে গেলো, কিন্তু আমরা উপকৃত হতে পারলাম না।
** ইবাদাতের মানের দিকে লক্ষ্য রাখা।
** যখন ক্লান্তি ভর করে,তখন জাহান্নামের কথা চিন্তা করব।
** সালাফদের ( আমাদের ১ম প্রজন্মের সৎ ও ন্যায়পরায়ন মুসলিমদের) জীবন ছিলো সব সময় শেষ পর্যায়ের মত।তাদের প্রতিদিন এমনছিলো, যেনো পরক্ষনেই তাদের মৃত্যু।
** সমস্যা হলো আমাদের দৃঢ় সংকল্পের অভাব।
বিস্তারিত (১৫ মিনিট) ভিডিও লিংক এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ৬
** মুমিনের প্রতিটি দিন ও রাতকে অতি সতর্কতার সাথে কাজে লাগানো দরকার।
** সময় আমাদের প্রধান সম্পদ, আমাদের প্রধান বিনিয়োগ ।
** সাধারন দিনগুলোই একজন মুমিনের কাছে অতি মুল্যবান, রামাদানের দিন ও রাত গুলো আরো বেশি মুল্যবান।
** রামাদানের শীতলতা অনুভবের জন্য যথাযথ প্রস্তুতির এখনই সময়।
**অলসতা আমাদেরকে আল্লাহর ইবাদাতে বাধা দেয়, অবশ্যই তা প্রতিহত করতে হবে।
**দ্বীনের ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করা
আর দুনিয়ার ব্যাপারে প্রতিযোগিতা থেকে দূরে সরে যাওয়া
** আখিরাতের জন্য দুনিয়াতেই সঞ্চয় করতে হবে।
** নিজের চেয়ে উত্তম ব্যাক্তিদের সাথে বেশি বেশি মেলামেশা করা দরকার। ( সুরা মতাফফিফিন ২৬)
** একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি কে নিজ জীবনের উদ্দ্যেশ্য বানালে আল্লাহ উত্তম প্রতিফল দিবেন। সুরা আন নাহল ৯৭)
বিস্তারিত (২০মিনিট) ভিডিও লিংক এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ৪
** আল্লাহ বলেছেন, সাওম কেবল্ আমার জন্য। কেন সাওমকে আলাদাভাবে তাঁর নিজের জন্য বলে ঘোষণা করলেন?
** সাওমে রিয়া (লোক দেখানোর সুযোগ নাই। এটা গোপন ইবাদত, যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানতে পারে না,যদি না সাওম পালনকারী তা প্রকাশ করে।
** সাওমের দ্বারা তাকওয়া ( আল্লাহর ভয় ) অন্তরে সৃষ্টি হয়। সুরা বাক্বারা আয়াত ১৮৩
** সাওমের মধ্যে সবর এর ৩ প্রকারই উপস্থিত থাকে। এজন্যে প্রতিদান ও অনেক বেশি।
** সাওমের দ্বারা তাকওয়ার প্রকৃত পরিক্ষা হয়।
** যে দিনগুলাতে সাওম পালন করা হয়, সেদিন গুলো অন্যান্য দিনের মত হওয়া উচিত নয় ।
** কিয়ামতের দিন সাওম ঢাল হয়ে রক্ষা করবে। যেদিন কেউ কোন কাজে আসবে না।
বিস্তারিত (১৭মিনিট) ভিডিও লিংক এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ৩
১। ইবাদতের একমাত্র লক্ষ্য - আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। মানুষকে দেখানো বা পার্থিব স্বার্থ হাসিল করা নয়।
২। দুনিয়া ও আখিরাতে সব সময় আল্লাহকে পাবো,
৩। আল্লাহর জন্য করা একান্ত, আন্তরিক, গোপনীয় আমল গুলোই একমাত্র সম্বল।
৪। বেশি বেশি ইখলাসপুর্ন, একান্ত গোপন আমল করার জন্য রামাদান শ্রেষ্ঠ সময়।
৫। আমরা নিজেরাও ভুলে যাবো আমাদের কৃত আমল্ গুলো।
৬। আমি অবশ্যই ঘুমাবো , যেদিন আমাকে আর ঘুম থেকে উঠতে হবে না।
৭। হক ইলম কে কাজে পরিনত করতে হয়।
৮। গোপন আমল- আখিরাতে আল্লাহর পুরুস্কার প্রাপ্তির সুযোগ।
৯। বিচার দিবসে গোপন আমলের ব্যাপারে স্বরন করিয়ে দেয়া হবে।
বিস্তারিত (১৮মিনিট) ভিডিও লিংক এখানে
ধূলিমলিন উপহার ; রামাদান পর্ব ২
১। ইবাদাত মানে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত, আর আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের জন্য আমাদের উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
২।পাপের কারনে হৃদয়ে কালো দাগ পড়ে, এই দাগ দূর করার জন্য রামাদান উত্তম সময়।
৩। অন্তরের দাগ দূর করতে করনিয়
** কোরআন অর্থ বুঝে তেলাওয়াত করা, তাফসির পাঠ করা।
**তালাবদ্ধ অন্তরকে শৃংখল্মুক্ত করা।
**আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরন করা
**তওবা করে অনুতপ্ত হওয়া, অতীতের ঘাটতি পুরনে চেস্টা করা।
**সালাফদের আদর্শ অনুসরন করা, তাদের সাথে নিজ নিজ অবস্থার তুলনা করা।
** দুনিয়ার নানা ফিতনা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া।
বিস্তারিত (১৭মিনিট) ভিডিও লিংক এখানে
ইসলাম রক্তের সম্পর্কের চাইতে দ্বীনি বা বিশ্বাসগত সম্পর্ককে প্রাধান্য দিয়েছে।
কেউ নামাজ পড়লেই যে তার চিন্তা দ্বীনি হবে, এমন না। কেউ তার ফেইসবুক বায়োতে কুরআনের আয়াত ঝুলায়ে রাখলেই যে সে মুসলিম হয়ে যাবে এমন না, প্রতি শুক্রবার Inspire to be Islamic অথবা প্রতি দিন Proud to be Islamic পেইজের পোস্ট শেয়ার দিলেই কেউ মুসলিম হয়ে যায় না।
মূল বিষয় হচ্ছে তার প্যারাডাইম, সে কোন লেন্সে দেখছে দুনিয়াকে। এই প্যারাডাইম জিনিসটা আসলেই মারাত্মক, প্রচন্ড রকমের ক্রুশাল। মানুষ কোনো কিছুই র্যান্ডমলি করে না, চেতনে অথবা অবচেতনে সবকিছুই তার প্যারাডাইম থেকেই আসে। আর এটার ভিত্তিতেই মানুষের সমগ্র জীবন পরিচালিত হয়।
প্যারাডাইম হচ্ছে কোনো কিছুকে দেখার এবং বিচার করার জন্য কারো চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানদন্ডের সমষ্টি। আমার নিজের এবং মানুষের দৈনন্দিন চলা-বলায় এই জিনিসটা প্রায়ই খেয়াল করি, এবং অবাক হই। কাছাকাছি মানুষ, অথচ তাদের চিন্তার কত ফারাক।
মানুষের উপ-মত এবং উপ-চিন্তায় ভিন্নতা থাকবে, সেটা সমস্যা না। কিন্তু মৌলিক চিন্তা এক হতে হবে, কোনো সমস্যার সমাধান এক জায়গা থেকে আসতে হবে। কিন্তু সমাধান এক জায়গা থেকে আসে না। একেক মানুষ একেক গ্রাউন্ড থেকে সমাধানের প্রস্তাব দেয়। আর এই জিনিসটাই মানুষের মৌলিক পার্থক্য নির্ধারণ করে দেয়। আপাতদৃষ্টে একই ধর্মের হতে পারে, বাহ্যিক কিছু প্র্যাক্টিসেও সাদৃশ্য থাকতে পারে। কিন্তু সমাধানের উৎসটা যদি এক না হয়, তাহলে একই ধর্মের এবং এমনকি কাছাকাছি থাকা স্বত্বেও এই দুজনের মধ্যে ফারাক হয়ে যায় আসমান আর যমীনের, এ মেরু আর ও মেরু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশকিডটা প্রায়ই নামাজ পড়ে, ফেইসবুকে মাঝে মাঝে কুরআন হাদীসের ভার্সও শেয়ার করে সে, রাসূলুল্লাহর দয়াদ্রতা আর মানবিকতার কথাও মুখে চর্চা করে, ইসলাম যে মানবতা আর শান্তির ধর্ম সেটা নিয়ে বিস্তর কথা বলে। কিন্তু যখন কোনো সমস্যা সামনে আসে, তখন সমাধান হিসেবে হাজির করে গণতন্ত্র অথবা অন্য কোনো তন্ত্র। তার পলিসিগুলো আসে পশ্চিমা একাডেমিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফ্রেইমওয়ার্ক থেকে। এই কারণে ব্যাংকে চাকরি করা হারাম শুনলে এদের চোখ কপালে উঠে যায়, ধর্ষণ অথবা যিনার শাস্তি পাথর মারা অথবা দোররা মারা, চোরের হাত কাটা, সমকামীদেরকে আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেয়া ইত্যাদীকে এদের কাছে বর্বরতা মনে হয়। বৈশাখ অথবা হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করাকে বাড়াবাড়ি মনে হয়।
সম্প্রতি আত্মহত্যার কেইস দিয়ে উদাহরণ দিলে বুঝবেন আশা করি। আত্মহত্যা একটা সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে কেউ হাজির করছে ইসলামকে, মানুষের সাথে তাদের রবের সম্পর্ককে। অন্য কেউ হাজির করছে কনসার্টকে, ছেলেমেয়ের একসাথে বিনোদনের ব্যবস্থা করে দেয়াকে, কেউ হাজির করছে সাইকিয়াট্রিস্টকে। আবার কারো কারো থেকে কোনো সমস্যার সমাধান আসবে তাদের সামাজিকতা থেকে।
আবার কারো সামনে যখন বাঙ্গালীত্ব আর ইসলামের প্রশ্ন তুলবেন, সে দ্বিধায় পড়ে যাবে যে সে বাঙ্গালীত্বকে আগে রাখবে নাকি মুসলমানিত্বকে।
এটা আমি আপাতদৃষ্টে মুসলিম প্র্যাক্টিসগুলা যারা করে, তাদের কথা বলছি। এদের বাস্তুগত অথবা শারিরিক অবস্থান কাছাকাছি হতে পারে, কিন্তু তাদের আদর্শিক অবস্থান যোজন যোজন দূরে। ইসলাম এই কারণেই রক্তের সম্পর্কের চাইতে দ্বীনি বা বিশ্বাসগত সম্পর্ককে প্রাধান্য দিয়েছে। যাইহোক, এইভাবে যদি আপনি দেখেন যে কোনো একজন ব্যক্তি কোনো সমস্যার সমাধান কোথা থেকে দিচ্ছে, তাহলে অনেক অনেক সহজ হয়ে যাবে জীবন। যদি সেটা ইসলাম না হয়ে অন্য কিছু হয়, তাহলে উপরে যতই ইসলামী লেবাস থাকুক না কেন, কোনো লাভ নাই।
লেখাঃ আবদুল্লাহ মাদান