মহানবি <সা> এর জীবনধারা সকল মানুষের জন্য উজ্জ্বলতম আদর্শ। তাঁর অনুসরনই আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভ করার একমাত্র মাধ্যম এবং ইহকালিন কল্যাণ ও পরকালিন নাজাত লাভের একমাত্র উপায়।
নবি <সা> এর প্রতি কতটুকু ভালবাসা থাকা দরকার সেই বিষয়ে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহ্কে মহব্বত করতে চাও, তাহলে আমাকে ( নবি <সা:> এর) অনুসরন কর। আল্লাহ তোমাদের কে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সুরা আল ইমরান - ৩১
রাসুল <সা> বলেছেন,
যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে অন্যমনস্ক হল বা আমার সুন্নতকে অপছন্দ করল, তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। (বুখারি- মুসলিম)
এ থেকে বোঝা যায় যে, রাসুল <সা> এর প্রতি ভালোবাসার প্রকৃত নিদর্শন ,তাঁর সুন্নতের অনুসরনের মধ্যে নিহিত। কোন ব্যক্তি নবি <সা> এর মহব্বতের দাবিদার, কিন্তু সুন্নতের অনুসরনে ঘাটতি, তবে সে তার দাবিতে সত্যনিষ্ঠ নয়।
মহা নবি <সা> এর উচ্চ মর্যাদা এবং তাঁর অবমাননায় আমাদের করনীয় :
আল্লাহ পাক বলেন,
আমি আপনার আলোচনাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছি। সুরা ইনশিরাহ- ০২
অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ পাক নবি <সা> কে সুউচ্চ মর্যাদা দান করেছেন।
এবং যারা নবি <সা> এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে, তাদের প্রতি আজাবের কথা জানিয়ে পবিত্র কোরআনে বলেছেন,
তোমাদের মধ্যে যারা ইমানদার, তাদের জন্য রাসুল <সা> রহমত স্বরূপ, আর যারা আল্লাহর রাসুলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনা দায়ক আজাব। সুরা তউবা - ৬১
লক্ষণীয় :
বর্তমানে বিশ্বব্যাপি নব্য ক্রুসেড শুরু হয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের বিশ্বাসে আঘাত করা। এর ধারাবাহিকতায় অবিশ্বাসীরা নানা ভাবে নবি <সা> এর নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক
ভাবে মুসলমানদের মধ্যেও কিছু লোক শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তাদের সাথে যুক্ত হয়ছে।
আল্লাহ পাক বলেছেন,
আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন। সুরা মায়িদা- ৮২
এজন্য তাদের উস্কানিতে উত্তেজিত না হয়ে, সর্বোচ্চ সংযম, উপযুক্ত ও কল্যাণমুখি কর্মকৌশল দ্বারা তাদের চক্রান্তের মোকাবেলা করতে হবে।
নবি <সা> এর সুন্নতের অনুসরন দ্বারা আমাদের জীবন সাজাতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের তৌফিক দান করেন। আমিন।
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends