গতকাল যখন সবাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ধুন্ধুমার খেলা দেখছিল ঠিক তখন আমি অন্যরকম একটি ঘটনার মুখোমুখি হলাম। নিজের অনেক না পাওয়া নিয়ে একটু হলেও যে আক্ষেপ ছিল তা মনেহয় কেটে গেল এই ঘটনা দেখে।
আমার একজন ক্লায়েন্ট যিনি ইউরোপ প্রবাসী সম্প্রতি দেশে এসেছেন। উনার কাজ করতে গিয়ে বেশ ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায়। ভদ্রলোক বেশ নম্র স্বভাবের। উনাকে দেখি সবসময় শ্বাসের সমস্যায় থাকেন। গতকাল খবর পেলাম উনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত গেলাম আর দেখলাম খুব বেশি সমস্যা না তাই বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে।
যাইহোক, বন্ধুত্বের খাতিরে উনার সঙ্গ দেয়াটা প্রয়োজন মনে করলাম আর প্রথমবারের মত উনার বাসায় গেলাম। বেশ ধনী লোক তাই অনেক বড় বাড়ি আর দেখার মত ডেকোরেশন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই, উনার খাদ্য তালিকা হল পানি, মুড়ি আর কয়েকটি নোনতা বিস্কুট। ঘুমানোর সময় নাকে কি যেন একটা মেশিন লাগিয়ে রাখেন যাতে নিঃশ্বাস বন্ধ না হয়। অথচ উনার বয়স খুব বেশি না।
এক ছেলে এক মেয়ে, ছেলে এমন জায়গায় পড়তে চায় যেখানে বাবা দিতে রাজি নয়। বুঝা গেল এটা নিয়ে বিস্তর সমস্যা হয় বাপ বেটায়। উনি অসুস্থ কিন্তু উনার স্ত্রী কি এক কাজে ঘরের বাইরে যেখানে সাধারণ সর্দি জ্বর হলেও আমাদের ঘরের মানুষেরা সহজে পাশ থেকে নড়ে না। আমি থাকা অবস্থায় নিন্ম মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের শিক্ষক এল আর তার গেমস আসক্তি দূর করতে ট্যাব কেড়ে নিল। শিক্ষক যাওয়ার পর মেয়ের প্রচণ্ড রাগ, চিৎকার, গালাগালি একসময় উম্মাদের মত আচরণে রূপ নিল।
সর্বশেষ কথা হল, উনি এতকিছুর মাঝেও আফসুস করছেন ব্যাংক লোণ নিয়ে যা উনি বাড়ি, ব্যবসা এসব কারণে নিয়েছেন।
আমরা মানুষকে কতটুকু দেখি আর কি ধারণা করি। আল্লাহ এই লোকের রিযক কেড়ে নিয়েছেন, শান্তি কেড়ে নিয়েছেন, সন্তানের আনুগত্য কেড়ে নিয়েছেন উপরি হিসাবে ঋণের টেনশন চাপিয়ে দিয়েছেন।
চলে আসার সময় কেবল মনে হচ্ছিল, কত ধনী আল্লাহ আমাকে করেছেন। পারিবারিক প্রশান্তি দিয়েছেন, আত্মীয়দের ভালবাসা দিয়েছেন, অনেক দ্বীনী ভাই দিয়েছেন যাদের মাঝে সমবয়সী কিছু অসাধারণ বন্ধু আছে, দুনিয়াকে বুঝার মত সুস্থ মস্তিষ্ক দিয়েছেন, খাওয়ার রুচি দিয়েছেন, এখনও বেশ সুস্থ শরীর দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ!!!
আমরা কতই অকৃতজ্ঞ, আমরা তবু আরও কিছু চাই। অথচ অনেক কিছু থেকেও কিছু মানুষ কত গরীব, কত অসহায়!! আল্লাহ উনাকে সাহায্য করুন, আমাদেরকেও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা সঠিক রাস্তায় প্রকাশ করার তৌফিক দিন।
আমার একজন ক্লায়েন্ট যিনি ইউরোপ প্রবাসী সম্প্রতি দেশে এসেছেন। উনার কাজ করতে গিয়ে বেশ ঘনিষ্ঠতা হয়ে যায়। ভদ্রলোক বেশ নম্র স্বভাবের। উনাকে দেখি সবসময় শ্বাসের সমস্যায় থাকেন। গতকাল খবর পেলাম উনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। দ্রুত গেলাম আর দেখলাম খুব বেশি সমস্যা না তাই বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে।
যাইহোক, বন্ধুত্বের খাতিরে উনার সঙ্গ দেয়াটা প্রয়োজন মনে করলাম আর প্রথমবারের মত উনার বাসায় গেলাম। বেশ ধনী লোক তাই অনেক বড় বাড়ি আর দেখার মত ডেকোরেশন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই, উনার খাদ্য তালিকা হল পানি, মুড়ি আর কয়েকটি নোনতা বিস্কুট। ঘুমানোর সময় নাকে কি যেন একটা মেশিন লাগিয়ে রাখেন যাতে নিঃশ্বাস বন্ধ না হয়। অথচ উনার বয়স খুব বেশি না।
এক ছেলে এক মেয়ে, ছেলে এমন জায়গায় পড়তে চায় যেখানে বাবা দিতে রাজি নয়। বুঝা গেল এটা নিয়ে বিস্তর সমস্যা হয় বাপ বেটায়। উনি অসুস্থ কিন্তু উনার স্ত্রী কি এক কাজে ঘরের বাইরে যেখানে সাধারণ সর্দি জ্বর হলেও আমাদের ঘরের মানুষেরা সহজে পাশ থেকে নড়ে না। আমি থাকা অবস্থায় নিন্ম মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ের শিক্ষক এল আর তার গেমস আসক্তি দূর করতে ট্যাব কেড়ে নিল। শিক্ষক যাওয়ার পর মেয়ের প্রচণ্ড রাগ, চিৎকার, গালাগালি একসময় উম্মাদের মত আচরণে রূপ নিল।
সর্বশেষ কথা হল, উনি এতকিছুর মাঝেও আফসুস করছেন ব্যাংক লোণ নিয়ে যা উনি বাড়ি, ব্যবসা এসব কারণে নিয়েছেন।
আমরা মানুষকে কতটুকু দেখি আর কি ধারণা করি। আল্লাহ এই লোকের রিযক কেড়ে নিয়েছেন, শান্তি কেড়ে নিয়েছেন, সন্তানের আনুগত্য কেড়ে নিয়েছেন উপরি হিসাবে ঋণের টেনশন চাপিয়ে দিয়েছেন।
চলে আসার সময় কেবল মনে হচ্ছিল, কত ধনী আল্লাহ আমাকে করেছেন। পারিবারিক প্রশান্তি দিয়েছেন, আত্মীয়দের ভালবাসা দিয়েছেন, অনেক দ্বীনী ভাই দিয়েছেন যাদের মাঝে সমবয়সী কিছু অসাধারণ বন্ধু আছে, দুনিয়াকে বুঝার মত সুস্থ মস্তিষ্ক দিয়েছেন, খাওয়ার রুচি দিয়েছেন, এখনও বেশ সুস্থ শরীর দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ!!!
আমরা কতই অকৃতজ্ঞ, আমরা তবু আরও কিছু চাই। অথচ অনেক কিছু থেকেও কিছু মানুষ কত গরীব, কত অসহায়!! আল্লাহ উনাকে সাহায্য করুন, আমাদেরকেও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা সঠিক রাস্তায় প্রকাশ করার তৌফিক দিন।
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends