আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা মানুষের জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝখানে যে সময়টা দিয়েছেন সেটা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য - কে ভালো কাজ করে।
জীবনের যে মূহুর্তটা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ব্যায় করা হবে - ওইটাই আসল। বাকি সব সময়ের জন্য মানুষ আখিরাতে আফসোস করবে। আমরা কেউ কুরআন পড়ব - এটাতে সাওয়াব আছে।কেউ কুরআন পড়াব - এটাতে আরো বেশি সাওয়াব আছে। কেউ কুরআন নিয়ে চিন্তা করব - সেটা লিখব তাতেও সাওয়াব আছে। কেউ টাকা কামাই করবে এবং যারা কুরআন পড়ছে এবং পড়াচ্ছে তাদের সাপোর্ট করবে - এটাতেও সাওয়াব আছে।
যারা কুরআনের এইসব খেদমত করবেন তারা ২৪ ঘন্টা কুরআন নিয়ে থাকবেন না। তাঁরা স্ত্রী-সন্তানদের সময় দেবেন - তাতেও সাওয়াব আছে।
যে উপরের কোনো কিছুই করছে না, চিল করছে বা আরাম-আয়েশ করছে এবং সেটাকী পূঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বলে মনে করছে সে কি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে তার সময়গুলোর জবাব দিতে পারবে?
মানুষের জীবন পরিশ্রম করার জন্য। বিশ্রাম যতটুকু দরকার, শরীর ক্লান্ত হয়ে নিয়ে নেবে। আমরা টিভি, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স বা পর্ন দিয়ে সময়টা এবং শরীরটা নষ্ট না করলেই হলো।
সাগরপারে বসে আয়েশ করা - কাজ না করা, শুধুই স্ত্রী-সন্তান-বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ-ফূর্তি করা - এগুলো জান্নাতের কাজ।
জান্নাতে যা করার কথা সেটা যখন আপনি দুনিয়াতে করতে চাবেন - সম্ভাবনা আছে আপনি জান্নাতে যেতে যা করা দরকার সেটা করতে পারবেন না। অথচ দুনিয়ার জীবনটা ক্ষণিকের, আর আখিরাত অনন্তকালের। CP
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends