.
#ঘরে_ইসলামী_জ্ঞানচর্চা
.
৮। পরিবারে ইসলাম শিক্ষা:
ঘরের কর্তার উপর আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত আবশ্যিক দায়িত্বগুলোর মধ্যে যা পড়ে তা হলো- "হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেকে ও নিজের পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর।" (৬৬:৬) পরিবার গড়া, শিক্ষাদীক্ষা, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ ব্যাপারে এই আয়াতে মূলনীতি বিদ্যমান। আয়াতটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুফাসসিরীন কেরাম বলেন, এই আয়াতের মূল কথা হলো, পরিবার, দাস ও আত্মীয়স্বজনকে আল্লাহ যা পালন করতে বলেছেন আর যা নিষেধ করেছেন তা শিক্ষা দেওয়া।
.
আত-তাবারী বলেন, "অবশ্যই আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিকে আল্লাহর দ্বীন ও উত্তম গুণাবলী, উত্তম ব্যাবহার শিক্ষা দেওয়া উচিত। আল্লাহর রাসুল দাসীদের ব্যাপারেই শিক্ষাদীক্ষার কথা বলেন (যারা ছিল দাস), তবে আমাদের স্ত্রী ও সন্তান (যারা মুক্ত) তাদের বেলায় তা কেমন হবে তো সহজেই অনুমেয়।"
.
অনেক সময় পুরুষ তার অন্যান্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারের দ্বীনশিক্ষার কথা ভুলে যায়। এ থেকে বের হওয়ার একটা উপায় হতে পারে পরিবার ও এমনকি অন্যান্য আত্মীয়দের জন্য কিছু সময় বরাদ্ধ করা যাতে সবাই মিলে বাসায় একটা 'পাঠচক্র' গড়ে তোলা যায়। তিনি অন্যদেরকে সময়ের কথা স্মরণ করানো ও ইলমী পাঠচক্রে বসার ব্যাপারে উৎসাহ যোগাবেন। রাসুলুল্লাহর সময়ে এমন কিছুই হতো।
.
ইমাম বুখারী (রাহিঃ) তাঁর বইয়ের একটি অধ্যায়ের শিরোনাম করেন, "নারীদেরকে কি জ্ঞানার্জনের জন্য একান্তভাবে কোনো দিনকে সাব্যস্ত করা যায়?" নামে। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু 'আনহু বর্ণনা করেন, "নারীরা নবীজিকে আরজ করলেন, পুরুষদের ভীড়ে আমরা আপনার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি না। তাই এমন একটা দিন আমাদের জন্যই নির্ধারণ করুন যাতে আমরা আপনার কাছে আসতে পারি।"
ইবন হাজার (রাহিঃ) বলেন একই ধরনের বর্ণনা আছে সাহল ইবন আবু সালিহ থেকে যিনি আবু হুরাইরাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, "তোমার দায়িত্ব অমুক ও অমুকের বাড়িতে। এবং তিনি তাদের ওখানে যান এবং কথা বলেন (শিক্ষা দেন)।"
.
আমরা এ থেকে শিখতে পাই যে নারীদের তাদের ঘরে শিক্ষা দেওয়া দরকার আর দেখি নারী সাহাবীরা জ্ঞানার্জনে কতটা আগ্রহী ছিলেন। নারীদের বাদ দিয়ে কেবলমাত্র পুরুষের দ্বীন শিক্ষা দা'ঈ এবং পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের জন্য অনেক বড় ঘাটতি।
.
অনেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ধরুন আমরা নারীদের নিয়ে বসলাম। কিন্তু আমরা এমন ক্ষেত্রে কী কী পড়াশোনা করবো?
.
কিছু সাজেশন নিচে দেওয়া হল:
- তাফসির-ঈ-ইবনুস সিদি [বাংলায় এর অনুবাদ আছে কিনা জানা নেই। তাই আমরা সহজবোধ্য যেকোন হক তাফসীরের কোনোটা সাজেস্ট করছি এ ক্ষেত্রে।]
- রিয়াদুস সালেহীন। সনদ ও ফুটনোটসহ আলোচনা করতে পারেন।
- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনীর উপর একটি সীরাহগ্রন্থ
.
এছাড়াও মেয়েদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিকহী হুকুম জানানো জরুরী। যেমন: তাহারাত (পবিত্রতা), হায়েয-নিফাস, সালাত, যাকাত, সিয়াম ও হজ্জ (সে যদি সক্ষম হয়); খাদ্য ও পানীয়, পোশাক ও সাজসজ্জা, ফিতরাগত সুন্নত, মাহরাম-ননমাহরাম বিষয়ক বিধান, গান-বাদ্য, ফটোগ্রাফির বিধান ইত্যাদি। এগুলো জানার জন্য শাইখ সালেহ আল উসায়মিন কিংবা শাইখ আব্দুল আজিজ ইবন বাজ কিংবা অন্য কোনো আলেমের ফতোয়া সংকলন দেখতে পারেন। উপমহাদেশের জন্য বেহেশতী জেওর কিংবা আহসান ফেকাহ উল্লেখযোগ্য।
.
এছাড়াও মেয়েদের জন্য হক আলেমদের উন্মুক্ত ইসলামিক ওয়াজ বা লেকচারগুলোতে অংশগ্রহণও যাতে আপনাদের সিলেবাসে থাকে। তারা উপযুক্ত পর্দা মেনে ইসলামী বই দোকান বা লাইব্রেরীগুলোতেও যাতে যাতায়াত রাখতে পারে।
.
৯. পারিবারিক ইসলামী গ্রন্থাগার তৈরি করা:
পরিবারের মানুষদের জন্য দ্বীন শিক্ষা, দ্বীন বোঝা ও আঁকড়ে ধরার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে ঘরেই ইসলামী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করা। খুব বড় হতে হবে যে এমনটা না। তবে যা করতে হবে তা হল- ভালো বই বাছাই, পরিবারের সবার জন্য প্রবেশযোগ্য আর সবাইকে পড়তে উৎসাহিত করা।
.
আপনি ড্রয়িং রুমের একটি পরিষ্কার কোণে কিংবা বেডরুমের কোনো উপযুক্ত স্থানে কিংবা গেস্ট রুমেও বই রাখতে পারেন।
.
একটা যথোপযুক্ত লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে হলে- আর আল্লাহ কোনো কাজ যথোপযুক্ত হওয়াকে ভালোবাসেন- একটি রেফারেন্স সেকশন থাকা উচিত যেখানে পরিবারের সদস্যগণ গবেষণা করতে পারবেন আর বাচ্চারা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে তা থেকে উপকৃত হতে পারবে। তাছাড়া শিশু ও বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারীর সবার ব্যবহার করার মতো বই থাকা চাই। বাসায় আসা মেহমানদের উপহার দেওয়ার জন্য উপযুক্ত সুন্দর প্রেজেন্টেশন সম্বলিত বই থাকাও দরকার। বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞজনের পরামর্শ নিতে পারেন। সবার কাছে বই খুঁজে পাওয়া সহজ করতে বিষয় অনুযায়ী বইকে আলাদা আলাদা তাকে রাখতে পারেন। অথবা সাজানোটা বর্ণানুক্রমিকও হতে পারে। তাফসীর, হাদিস, আকীদা, ফিকহ, শিষ্টাচার ও আত্মশুদ্ধি, সীরাহ ও জীবনী প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে বই ছাড়াও প্যামফ্লেট, লিফলেট থাকতে পারে।
.
১০. হোম অডিও লাইব্রেরি:
একটি অডিও প্লেয়ার ভালো বা মন্দ দুই কারণেই ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য আমরা এটা কীভাবে ব্যবহার করতে পারি? একটা উপায় হতে পারে আলেম, ফুকাহা, লেকচারার, খতীব বা দা'ঈদের বিভিন্ন বক্তব্যের অডিও নিয়ে একটি হোম অডিও লাইব্রেরি বানানো।
.
তারাবীহের সালাতের কিছু কুরআন তিলাওয়াতের রেকর্ডিং দারুন তাদের কুর'আন বোঝা ও মুখস্তের আগ্রহ বাড়াতে পারে। শয়তানী গান-বাদ্যকে কুর'আন দিয়ে প্রতিস্থাপনের এটা হতে পারে একটা উপায়।
.
এছাড়াও ফতোয়ার অডিও/ভিডিও সংগ্রহ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কার কাছ থেকে তা সংগ্রহ করছেন তাও খেয়াল রাখবেন।
.
পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামিক লেকচারের অডিও সংগ্রহ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখবেন তা হল:
- লেকচারার আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত কিনা এবং বিদ'আতমুক্ত কিনা
- জাল ও দায়ীফ পরিহার করে তিনি সহীহ হাদিসের উপর ভিত্তি করে কথা বলেন কিনা
- তিনি উম্মাহর বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন কিনা এবং বাস্তবতা বুঝে কথা বলেন কিনা
- তিনি সর্বদা মিথ্যা পরিহার করে কথা বলেন কিনা
.
১১. বাসায় ভালো, নেককার ও জ্ঞানানুরাগী মানুষকে দাওয়াত দেওয়া:
"হে আমার রাব্ব! আমাকে, আমার পিতামাতাকে, তাকে যে আমার ঘরে মু'মিন হিসেবে প্রবেশ করে এবং সকল মু'মিন ও মু'মিনাকে মাফ করে দিন..." (৭১:২৮)
.
আপনার বাড়িতে যদি নেককার মানুষের যাতায়াত থাকে তবে তা একে আলোকিত করবে। তার সাথে আপনার আলোচনা ও কথাবার্তা থেকে অনেক কিছু শেখা হয়ে যাবে। আতর ব্যবসায়ীর কাছে গেলে সে আপনাকে আতর দিয়ে দেবে কিংবা আপনি কিছু কিনবেন নয়তো দেখবেন তার কাছে মনোরম সুগন্ধ রয়েছে। একইভাবে ভালো মানুষের সাথে আপনার ও আপনার সন্তানদের বসা আর পর্দার আড়াল থেকে মেয়েদের আপনাদের উত্তম কথা শোনা হতে পারে শিক্ষনীয়।
.
১২. ঘর সংক্রান্ত ইসলামী বিধানগুলো জানা:
*ঘরে নামাজ আদায়-
পুরুষের ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, "উত্তম সালাত হলো একজন পুরুষের ঘরে নামাজ আদায় করা- ফরজ সালাত ব্যাতীত।" (বুখারী: ৭৩১)
ন্যায় ওজর ছাড়া জামাতে ফারদ (ফরজ) সালাত আদায় করা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসুল ﷺ আরও বলেন, একজন পুরুষের নিজের ঘরে নফল ইবাদাত লোকদের সাথে নফল ইবাদাতের চেয়ে বেশি সাওয়াবের। অন্যদিকে তার লোকদের সাথে ফরজ সালাত আদায় করা ঘরে তা আদায় জরার চেয়ে অধিক সাওয়াবের হবে।" (সহীহ আল-জামি: ২৯৫৩)
.
মেয়েদের সালাতের জায়গা হিসেবে ঘরের গোপন কোণ সবচেয়ে ভালো। আল্লাহর রাসুল ﷺ বলেন, "একজন মেয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ সালাত তার ঘরের অন্তিম কোণে যদি আদায় করা হয় তা।" (তাবারানী, সহীহ আল-জামি: ৩৩১১)
.
ঘরের কর্তা ব্যক্তির তার নিজের ঘরে মুক্তাদি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এমনকি তার কুর'আন তিলাওয়াত অন্যের তুলনায় যদি কম সুন্দর হয় তবুও। তিনি যেখানে বসেন সেখানে অন্যের ক্ষেত্রে অনুমতি ছাড়া বসাও শোভন না। তিরমিযীর ২৭৭২ নম্বর হাদিসে এই কথা রয়েছে।
.
*ঘরে প্রবেশে অনুমতি-
আল্লাহ বলেন, "হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না। এটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। যদি তোমরা গৃহে কাউকেও না পাও, তাহলে তোমাদেরকে যতক্ষণ না অনুমতি দেওয়া হয়, ততক্ষণ ওতে প্রবেশ করবে না। যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও’ তবে তোমরা ফিরে যাবে; এটিই তোমাদের জন্য উত্তম। আর তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।"
(আন-নূর: ২৭-২৮)
.
আল্লাহ আরও বলেন, "... সুতরাং ঘরগুলোতে প্রবেশ করো সদর দরজা দিয়ে।" (বাকারাহ: ১৮৯)
.
কোনো ঘরে যদি প্রবেশের ক্ষেত্রে বৈধতা থাকে (যেমন, অতিথি হিসেবে) তবে এমন ফাঁকা ঘরে প্রবেশ করা যাবে।
আল্লাহ বলেন, "যে গৃহে কেউ বাস করে না, তাতে তোমাদের জন্য উপকার (বা আসবাব-পত্র) থাকলে সেখানে তোমাদের প্রবেশে কোনও পাপ নেই এবং আল্লাহ জানেন, যা তোমরা প্রকাশ কর এবং যা তোমরা গোপন কর।" (আন-নূর: ২৯)
.
তবে নিজেদের আত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবদের ঘর ও যে ঘরের চাবি কারও কাছে গচ্ছিত সেসব ঘরে প্রবেশ ও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে লজ্জার কিছু নেই।
আল্লাহ বলেন, "অন্ধের জন্য, খঞ্জের জন্য, রুগ্ণের জন্য এবং তোমাদের নিজেদের জন্য তোমাদের নিজেদের গৃহে আহার করা দূষণীয় নয়। অথবা তোমাদের পিতৃগণের গৃহে, মাতৃগণের গৃহে, ভ্রাতৃগণের গৃহে, ভগিনীগণের গৃহে, পিতৃব্যদের গৃহে, ফুফুদের গৃহে, মাতুলদের গৃহে, খালাদের গৃহে অথবা সে সব গৃহে যার চাবি তোমাদের হাতে আছে অথবা তোমাদের বন্ধুদের গৃহে; তোমরা একত্রে আহার কর অথবা পৃথক পৃথকভাবে আহার কর, তাতে তোমাদের জন্য কোন অপরাধ নেই; তবে যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন। এভাবে তোমাদের জন্য নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করেন; যাতে তোমরা বুঝতে পার।" (সুরা নূর: ৬১)
.
ফজরের পূর্বে ও ইশার পর শিশু ও কাজের ছেলে-মেয়েদের বেডরুমে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে মানা করতে হবে। নইলে হয়তো তারা এমন কিছু দেখে ফেলতে পারে যা তাদের জন্য উপযুক্ত না।
আল্লাহ বলেন, "হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসিগণ এবং তোমাদের মধ্যে যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়নি (নাবালক), তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিনটি সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে; ফজরের নামাযের পূর্বে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা বিশ্রামের উদ্দেশ্যে বাহ্যাবরণ খুলে রাখ তখন এবং এশার নামাযের পর। এ তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তা অবলম্বনের সময়। তবে এ তিন সময় ব্যতীত অন্য সময়ে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলে তোমাদের জন্য এবং তাদের জন্য কোন দোষ নেই। তোমাদের এককে অপরের নিকট তো সর্বদা যাতায়াত করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের নিকট তাঁর নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করেন। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।" (সুরা নূর: ৫৮)
.
অনুমতি ছাড়া কারও ঘরে উঁকি দেওয়া নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, "অনুমতি ছাড়া যে কারও ঘরে উঁকি দেবে তার চোখ তুলে ফেলো। এক্ষেত্রে কোনো রক্তমূল্য বা ক্ষতিপূরণ গ্রহণীয় হবে না।" (আল-মুসনাদ ২/৩৮৫)
.
যে নারীকে প্রথম ও দ্বিতীয় তালাক দেওয়া হয়ে গেছে তাকে ঘর ত্যাগ করানো যাবে না তার ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত আর তাকে এ সময় অর্থ সহায়তা দিতে থাকতে হবে।
আল্লাহ বলেন, "হে নবী! (তোমার উম্মতকে বল,) তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তখন তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে, ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করো; তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বহিষ্কার করো না এবং তারা নিজেও যেন বের না হয়; যদি না তারা লিপ্ত হয় স্পষ্ট অশ্লীলতায়। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা। আর যে আল্লাহর সীমা লংঘন করে, সে নিজের উপরই অত্যাচার করে। তুমি জান না, হয়তো আল্লাহ এর পর কোন উপায় করে দেবেন।" (আত-তালাক : ১)
.
*ঘরে একা একা অবস্থান করা উচিত নয় আর না ঘুমানো উচিত সেই ছাদে যার রক্ষাকারী দেওয়াল নেই।
.
*পোষা বিড়াল কোনো খাবার বা পানীয়কে নাপাক বানায় না। (আহমদ, আল-মুসনাদ ৫/৩০৯)
.
(চলবে... ইনশাআল্লাহ)
.
সহায়ক গ্রন্থ: ঘরের জন্য ৪০ উপদেশ (শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ)
.
#UttomGhorerChabikathi
.
#HujurHoye
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends