আল্লাহর উপর ইয়াকিনের সাথে পাহাড় দৃঢ় তাওয়াক্কুল ছোট বড় যেকোন পরিস্থিতিকে
সফলভাবে পার করতে সাহায্য করে।
তাওয়াক্কুলের আগে আমলকেন্দ্রিক আর অন্তরকেন্দ্রিক কিছু ব্যাপার সংশোধন করতে হয়, তা না হলে তাওয়াক্কুল অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
আমল বিষয়ক দিক গুলো হল ফরজ হওয়া সব আদেশ, যেমন- হালাল উপার্জন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ, রোযা, যাকাত, হজ্জ, সুন্নাহর উপর অটল থাকা, দাঁড়ি, নিকাব ইত্যাদি। সর্বোপরি আল্লাহর দেয়া আদেশ নিষেধগুলো একাগ্রতার সাথে মেনে চলা।
তবে এই আমল গুলো স্রেফ শারীরিক এবং আর্থিক পরিশ্রমে পরিণত হবে যদি না অন্তরের হালতের দিকে নজর না দেয়া হয়, প্রাণহীন আমল করে যাওয়া হয়।
.
অন্তরের স্থিরতা আসে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতায়। পুরোপুরি আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে যেতে হবে। ছোট থেকে ছোট জিনিসের জন্য আল্লাহর তায়ালার কাছে ফরিয়াদ জানাতে হবে। এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতেও আল্লাহর সাহায্য চান। সাহাবীরা জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। সাহাবীরা সামান্য দুনিয়াবি বিষয়েও ষোল আনা আল্লাহর মুখাপেক্ষী থাকতেন। আল্লাহ মুখাপেক্ষিতাকে তাঁদের অন্তরের গহীনে শক্ত করে গেঁথে নিয়েছিলেন। দৃঢ় বিশ্বাস করতেন বিশ্ব জাহানের মালিকই তাদের প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন, অন্য কোথাও তাঁদেরকে ধরনা দিতে হবে না। আল্লাহ তায়ালার উপর বান্দা যেভাবে ধারণা করে, আল্লাহ বান্দার প্রতি সেভাবে সাড়া দেন। তাঁদের ধারণা যেমন মজবুত ছিল, তেমনি আল্লাহ তাঁদেরকে অমন সাহায্য করেছেন। আমাদের ধারণা যেমন হবে, আমাদের প্রতিও তেমন সাহায্য আসবে।
.
ছোট ছোট ব্যাপারে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতার অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে আমল গত বিষয়ে স্থির থাকার মত সিরিয়াস ব্যাপার গুলোতে আমাদের আল্লাহর উপর কেমন ধারণা আর তাওয়াক্কুল রেখে চেষ্টা করে যেতে হবে? অন্তরের স্থিরতা, সবরের সাথে আল্লাহর ইবাদত করে যাওয়া, ইহসানের সাথে নামাজ আদায় করার মত বিষয় গুলো যদি আমরা আমাদের জীবনে সুন্দরভাবে সেট করতে পারি, তাহলে দ্বীন দুনিয়ার বাকি সব ব্যাপার গুলো আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।
.
"যেখানে আপনি আপনার রাতের ঘুমকে হারিয়েছেন, যেখানে আপনার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, সেখানেই ঘুরে ফিরে মৌন ভিক্ষার ঝুলি পেতে বসে আছেন। আল্লাহ আপনার ঈমানকে ঐ বিষয়ের সাথেই জুড়ে দিবেন, যতই আপনি মুখে বলা তাওয়াক্কুল রাখেন না কেন।আল্লাহকেন্দ্রিক সব আশা ভরসা রাখুন, দুনিয়াবি এসব বিপর্যয় আপনাকে অস্থির করার ক্ষমতাও রাখবে না।"
.
ইনভার্টেড কমার মধ্যে লেখাটি আসলে উপরের তাওয়াককুলের বিষয় গুলোর তুলনায় নিতান্তই সামান্য বিষয়। কিন্তু এই সামান্য বিষয়টি অনেকের কাছেই বেশ বড় ব্যাপার। কারণ, তাদের চিন্তা চেতনাগুলো এই বিষয় কেন্দ্রিকই হয়ে থাকে।
আমরা আপনাদেরকে বলছি, সমস্যা গুলোর একটা একটা করে সমাধানের দিকে নজর না দিয়ে, সমস্যা যেন না ফেইস করতে হয় নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে।
আপনার যদি ঈমান, আমল, তাওয়াককুল, অন্তরের হালত ঠিক না থাকে, তাহলে বারবার এমন শত শত সমস্যা আসতেই থাকবে, আর আপনি একটার পর একটা সমাধান করতে যেয়ে সমস্যাকে কেন্দ্র করেই নিজের সংশোধনে সাময়িকের মনোনিবেশ করে করে এক সময় বিরক্ত হয়ে যাবেন। এমনও হতে পারে বারবার সংশোধন করতে যেয়ে আপনি আসল বিষয়টি উপলব্ধি করে আপনার প্রায়োরিটি ঐ ঈমান আর আমলে সেট করতে পারবেন, এমনটাই যেন হয়। তবে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরিবেশই না রাখার দিকে নজর দিলে আপনার জন্যই সহজ হবে।
.
কাজেই দুঃসময়ে জন্য স্রেফ অন্তরের স্থিরতাকে আমরা টার্গেট করে আল্লাহর মুখাপেক্ষি হওয়ার চেষ্টা করবো না। এভাবে চেষ্টা করেও কাজ হবে, কিন্তু তার স্থায়িত্ব হবে সাময়িক।
কাজেই আল্লাহর মুখাপেক্ষি হতে হবে আল্লাহর জন্যেই, আল্লাহ আযযা ওয়াজাল'কে ভয় করে, তাঁকে ভালোবেসে, একাগ্রতার সাথে তাঁর ইবাদত করতে।
এমন যেন না হয় যে আমাদের উপর বিপদ আসলে আমরা শুয়ে বসে আল্লাহকে ডাকছি, আর বিপদ চলে গেলে তার নাফরমানি এমনভাবে করছি যে আগে কখনো আমাদের উপর কোন বিপদই আসে নি। আল্লাহ আমাদেরকে বিষয়টি বুঝার আর আমল করার তাওফিক দেন।
.
#HujurHoye
তাওয়াক্কুলের আগে আমলকেন্দ্রিক আর অন্তরকেন্দ্রিক কিছু ব্যাপার সংশোধন করতে হয়, তা না হলে তাওয়াক্কুল অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
আমল বিষয়ক দিক গুলো হল ফরজ হওয়া সব আদেশ, যেমন- হালাল উপার্জন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ, রোযা, যাকাত, হজ্জ, সুন্নাহর উপর অটল থাকা, দাঁড়ি, নিকাব ইত্যাদি। সর্বোপরি আল্লাহর দেয়া আদেশ নিষেধগুলো একাগ্রতার সাথে মেনে চলা।
তবে এই আমল গুলো স্রেফ শারীরিক এবং আর্থিক পরিশ্রমে পরিণত হবে যদি না অন্তরের হালতের দিকে নজর না দেয়া হয়, প্রাণহীন আমল করে যাওয়া হয়।
.
অন্তরের স্থিরতা আসে সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতায়। পুরোপুরি আল্লাহর মুখাপেক্ষি হয়ে যেতে হবে। ছোট থেকে ছোট জিনিসের জন্য আল্লাহর তায়ালার কাছে ফরিয়াদ জানাতে হবে। এক গ্লাস পানি ঢেলে খেতেও আল্লাহর সাহায্য চান। সাহাবীরা জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। সাহাবীরা সামান্য দুনিয়াবি বিষয়েও ষোল আনা আল্লাহর মুখাপেক্ষী থাকতেন। আল্লাহ মুখাপেক্ষিতাকে তাঁদের অন্তরের গহীনে শক্ত করে গেঁথে নিয়েছিলেন। দৃঢ় বিশ্বাস করতেন বিশ্ব জাহানের মালিকই তাদের প্রয়োজন পূরণ করে দিবেন, অন্য কোথাও তাঁদেরকে ধরনা দিতে হবে না। আল্লাহ তায়ালার উপর বান্দা যেভাবে ধারণা করে, আল্লাহ বান্দার প্রতি সেভাবে সাড়া দেন। তাঁদের ধারণা যেমন মজবুত ছিল, তেমনি আল্লাহ তাঁদেরকে অমন সাহায্য করেছেন। আমাদের ধারণা যেমন হবে, আমাদের প্রতিও তেমন সাহায্য আসবে।
.
ছোট ছোট ব্যাপারে আল্লাহর মুখাপেক্ষিতার অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে আমল গত বিষয়ে স্থির থাকার মত সিরিয়াস ব্যাপার গুলোতে আমাদের আল্লাহর উপর কেমন ধারণা আর তাওয়াক্কুল রেখে চেষ্টা করে যেতে হবে? অন্তরের স্থিরতা, সবরের সাথে আল্লাহর ইবাদত করে যাওয়া, ইহসানের সাথে নামাজ আদায় করার মত বিষয় গুলো যদি আমরা আমাদের জীবনে সুন্দরভাবে সেট করতে পারি, তাহলে দ্বীন দুনিয়ার বাকি সব ব্যাপার গুলো আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে।
.
"যেখানে আপনি আপনার রাতের ঘুমকে হারিয়েছেন, যেখানে আপনার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, সেখানেই ঘুরে ফিরে মৌন ভিক্ষার ঝুলি পেতে বসে আছেন। আল্লাহ আপনার ঈমানকে ঐ বিষয়ের সাথেই জুড়ে দিবেন, যতই আপনি মুখে বলা তাওয়াক্কুল রাখেন না কেন।আল্লাহকেন্দ্রিক সব আশা ভরসা রাখুন, দুনিয়াবি এসব বিপর্যয় আপনাকে অস্থির করার ক্ষমতাও রাখবে না।"
.
ইনভার্টেড কমার মধ্যে লেখাটি আসলে উপরের তাওয়াককুলের বিষয় গুলোর তুলনায় নিতান্তই সামান্য বিষয়। কিন্তু এই সামান্য বিষয়টি অনেকের কাছেই বেশ বড় ব্যাপার। কারণ, তাদের চিন্তা চেতনাগুলো এই বিষয় কেন্দ্রিকই হয়ে থাকে।
আমরা আপনাদেরকে বলছি, সমস্যা গুলোর একটা একটা করে সমাধানের দিকে নজর না দিয়ে, সমস্যা যেন না ফেইস করতে হয় নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করে নিতে।
আপনার যদি ঈমান, আমল, তাওয়াককুল, অন্তরের হালত ঠিক না থাকে, তাহলে বারবার এমন শত শত সমস্যা আসতেই থাকবে, আর আপনি একটার পর একটা সমাধান করতে যেয়ে সমস্যাকে কেন্দ্র করেই নিজের সংশোধনে সাময়িকের মনোনিবেশ করে করে এক সময় বিরক্ত হয়ে যাবেন। এমনও হতে পারে বারবার সংশোধন করতে যেয়ে আপনি আসল বিষয়টি উপলব্ধি করে আপনার প্রায়োরিটি ঐ ঈমান আর আমলে সেট করতে পারবেন, এমনটাই যেন হয়। তবে সমস্যা তৈরি হওয়ার পরিবেশই না রাখার দিকে নজর দিলে আপনার জন্যই সহজ হবে।
.
কাজেই দুঃসময়ে জন্য স্রেফ অন্তরের স্থিরতাকে আমরা টার্গেট করে আল্লাহর মুখাপেক্ষি হওয়ার চেষ্টা করবো না। এভাবে চেষ্টা করেও কাজ হবে, কিন্তু তার স্থায়িত্ব হবে সাময়িক।
কাজেই আল্লাহর মুখাপেক্ষি হতে হবে আল্লাহর জন্যেই, আল্লাহ আযযা ওয়াজাল'কে ভয় করে, তাঁকে ভালোবেসে, একাগ্রতার সাথে তাঁর ইবাদত করতে।
এমন যেন না হয় যে আমাদের উপর বিপদ আসলে আমরা শুয়ে বসে আল্লাহকে ডাকছি, আর বিপদ চলে গেলে তার নাফরমানি এমনভাবে করছি যে আগে কখনো আমাদের উপর কোন বিপদই আসে নি। আল্লাহ আমাদেরকে বিষয়টি বুঝার আর আমল করার তাওফিক দেন।
.
#HujurHoye