আমার এক বন্ধু সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র সেদিন বলছিল তাদের প্রতিটি প্রশ্নেই
কিছু লাইন পর পরই “we live in the society” লাইনটি থাকে। স্কুলে
সমাজবিজ্ঞান বইতে আমরা সবাই পড়েছি “মানুষ সামাজিক জিব”। সমাজবিজ্ঞানের এই
থিওরির সাথে ইসলামের কোন সংঘর্ষ নেই।
সমাজবিজ্ঞানের “আদিম মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে” আর ইসলামের "আল্লাহর ইচ্ছায়” মানুষ সমাজবদ্ধ হয়েছে। সমাজবদ্ধ হয়ে সামাজিক জীব হিসেবে বেঁচে থাকার তাগিদে সৃষ্টি হয়েছে রীতি, নীতি, সংস্কৃতি, চিন্তাধারা। সৃষ্টি হয়েছে সমাজের সিস্টেম। যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্ট এই সিস্টেমই মানুষকে শাসন করেছে,মানুষকে নিয়িন্ত্রন করেছে।
একজন মুসলিম হিসেবে আমি জানি আর বিশ্বাস করি সমাজ তখনই সঠিক পথে থাকে এবং থাকবে যেখানে আল্লহর প্রদত্ত সিস্টেম মানুষকে পরিচালিত করবে।
এবং ইতিহাস থেকে আমরা তার প্রমাণও পাই।কালের বিবর্তনে, বড় মগজের মানুষের মনুষ্যত্বের পদস্খলনে ইসলামের সেই সোনালি অতীত থেকে আমরা শত শত বছর পরের বর্তমানে। ১৪০০ বছর আগে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিষ্ঠিত ন্যায়, সত্য আর মানবতার একমাত্র সমাধান সমাজ আর সিস্টেম থেকে অনেক দূরের আজকের এক যুবক এই সময়ের মনুষ্যত্বহীন নষ্ট এক সমাজের কথা লিখছি!
আমি একজন মুসলিম। নামে এবং উত্তরাধিকার সুত্রে। জীবনের অনেক বড় একটা অংশ পার করে এসে আমাকে বুঝতে হয়েছে ইসলাম আসলে কি জিনিশ। তাও একেবারে initial stage থেকে।কারন কালের বিবর্তনে আমাদের এই সমাজে ছেলে মেয়েদের ইসলাম শেখানোর বদলে রকমারি কুফরি আর দুনিয়াবি জ্ঞানে জ্ঞানী করা হয়েছে।“আল্লাহর জন্য আমাদের সবকিছু” এর বদলে শিখানো হয়েছে “দুনিয়ায় এই এই করতে হবে” “অমুক তমুক হতে হবে” “সবাই মিলে হ্যাপি ফ্যামেলি হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে হবে”। কে শিখিয়েছে?? সমাজ শিখিয়েছে, সিস্টেম শিখিয়েছে!
ছোট বেলা থেকে তিন গোয়েন্দা, হুমায়ূন, জাফর ইকবাল দিয়ে মাথা ভরিয়েছি ইসলাম শেখার সুযোগ কই?? আজকে আমরা অর্থনীতি পড়ছি! ইসলামের নয়,অ্যাডাম স্মিথ এর! আজকে আমরা সাহিত্য পড়ছি! ইসলামের নয়, রবীন্দ্রনাথের! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় রবীন্দ্রনাথ আজ আমাদের গুরু! সকল আদর্শের উৎস!আমরা সমাজের সিস্টেমের কথা জানছি! ইসলামের নয়, কার্ল মার্ক্সের! আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে ছোট বেলা থেকেই কচি মগজ ভারি করা হয়েছে ডারউইনবাদের গাঁজাখুরি তত্ত্ব দিয়ে! আমরা এগুলোই শিখেছি, আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের এখনো এগুলোই শেখানো হচ্ছে!কে শেখাচ্ছে?? সমাজ শেখাচ্ছে, সিস্টেম শেখাচ্ছে! ইসলাম বিবর্জিত হতে হতে আমাদের সিস্টেম এখন আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক তত্বে এনে ঠেকিয়েছে! আমরা আশরাফুল মাখলুখাত কেউ অসহায়, কেউ রামছাগল, কেউ হেকমতি বড়ির জোরে আর কেউ এই সিস্টেম এর অধিপতি হয়ে এই সিস্টেমেরই পূজা করছি! আমাদের মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে! আমাদের চেতন আর অবচেতন মনে মেনে নেওয়ার মানসিকতা অনেক আগের!
আমাদের সমাজের, এই সিস্টেমের চেইন কি?? মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সত্যের জীবনবোধ! ভয়ঙ্কর দিকটা হল আমাদের সমাজ এসবের অবনতির extreme stage এ অবস্থান করছে! সমাজের আজ কোন চেইন নেই!রস্তার বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে শরীর প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতায় কাপড় ছোট হতে হতে এখন গাছের পাতা দিয়ে শরীর ঢাকার আদিম রীতির অনুসরনের সিস্টেম শুরু হয়েছে! এর পরের সংস্করণে কি আসবে আল্লাহ ভাল জানেন!এক ভাইয়ের লেখায় পড়েছিলাম তিনি বউ বাচ্চা নিয়ে রেস্টুরেন্ট এ খেতে গিয়ে দেখেন স্কুল ড্রেস পরা ছেলেমেয়েরা প্রকাশ্যে চুমু খাচ্ছে! তিনি জেনে হয়তো খুবই ব্যতীত হবেন সেই গ্রুপ চুমু এখন গ্রুপ সেক্স পর্যায়কেও ছাপিয়ে গেছে!
ভালোবাসার মত অতি পবিত্র বিষয়টাকে পুঁজি করে সমাজের চালিকাশক্তি এই তরুন তরুনিগুলোকেই সবার আগে মূল্যবোধ আর নৈতিকতা বিবর্জিত করা হয়েছে! অনেক আগে আমরা দেখতাম রিকশায় কোন আপু আর ভাইয়া থাকলে আপুরা মুখে কাপড় দিয়ে রাখত কেউ দেখে ফেলার ভয়ে!সমাজ আমাদের আপু ভাইয়াদের এখন অনেক সাহসী করে তুলেছে!মুখ ঢাকার সতর্কতা এখন পথচারীর চোখ নামিয়ে নেওয়া বা বিনোদনের খোরাকে এসে ঠেকেছে! একসময় বাইকের পেছনে কোন আপু থাকলে কেমন আড়ষ্ট হয়ে থাকতো! এখন সিস্টেম পাল্টেছে ! সময়ের কাঁটা ঘোরার সাথে সাথে আপুদের কোমরও ঘোরেছে!! আপুরা এখন বাইকে ছেলেদের কায়দায় বসে! একটু আঁধার নামলে ঝোপে ঝাড়ে আড়ালে যে জায়গাগুলোতে হয়তো লাখ টাকা দিয়েও একা একা বসানো যেত না একজন সঙ্গি আর একটু গা গরমের ফ্যান্টাসির লোভে সেই জায়গাগুলোই মুখরিত হয়ে উঠে! সিস্টেম যেন পথে পথে উন্মুক্ত পতিতালয় সৃষ্টি করছে!এই কপোত কপোতীরা কাউকে কেয়ার করছে না, কাউকেই না!কাউকে কেয়ার না করা নৈতিকটা বিবর্জিত এক প্রজন্ম আমাদের চোখের সামনেই গড়ে উঠছে! যারা এদের কেয়ার করার কথা তারাও এদের কেয়ার করছে না!তারা যে এই ভয়ঙ্কর corrupted সিস্টেমেরই অধিপতি!
ইসলাম বিবর্জিত সমাজের মানুষেরাও ইসলাম বিবর্জিত হবে এটাই স্বাভাবিক! রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইসলাম ছেড়ে আজ আমরা ভিন্ন এক ইসলাম বা মোডারেট ইসলামের ভিত্তি রচনা করেছি!আর তাই আজ ইসলাম শিখা শুরু করে ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হয় কার ইসলাম সঠিক আর কারটা ভুল!! কার কাছে ইসলাম শিখবো? এই সিস্টেমে একজন নামাজ পড়বে সাথে টুপি রেখে ‘জীবনমুখী বাস্তবতার গান’ কিংবা ‘সামাজিক ছবি’ দেখতে বসবে! না হলে যে লোকে ক্ষ্যাত বলবে!লোকের কাছে cool হতে হবে! কে বলেছে?? সমাজ বলেছে, সিস্টেম বলেছে!
আমাদের সমাজ, আ্মাদের সিস্টেম সব ন্যায় অন্যায়, ভাল মন্দের ব্যাকরণ পাল্টে দিয়েছে!এই সমাযে সব দোষ পরিমলদের! হ্যাঁ পরিমল তার দিক থেকে ১০০% অপরাধী, এতে কোন আপত্তি নেই! কিন্তু হে সমাজ! কেন তুই মেয়েটাকে নিষ্পাপ বানিয়ে রাখবি? কেন তুই তাকে বাস্তবতার discipline শেখাবি না? কেন তুই তাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবিনা যে সে বড় হয়েছে তার এখন হিজাব পরা উচিত! আজকের চতুর্দশী সব বোঝে, প্রেম বোঝে, boyfriend বোঝে, রিকশাতে মাখামাখি বোঝে আর কমবয়সী এক স্যারের বাসায় একা পড়তে বলার পেছনের ইঙ্গিতটা কেন বোঝবেনা? আর জগন্য সিস্টেমের পলিটিক্সটা হল এখানে পরিমলকে অপরাধী কিংবা মেয়েটাকে নিষ্পাপ বানানোয় ন্যায় অন্যায়ের কোন তোয়াক্কা নেই! আছে সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতা! কালকে আরেকটা একই ঘটনায় যদি পরিমলকে নিষ্পাপ আর মেয়েটাকে অপরাধী বানানো সিস্টেমে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে নোংরা সিস্টেম তাই করবে! এটাই সিস্টেম! এই সিস্টেম হঠাৎ আকাশ থেকে নেমে আসেনি! আমরাই এই সিস্টেম তৈরি করেছি! আমরা কেউ এর দায় এড়াতে পারিনা!
আমাদের সিস্টেমটা প্রভাদের!এখানে প্রভাদের সুন্দর বিয়ে হয়! আমাদের প্রভারা স্বামীর হাত ধরে ইউরোপে মধুচন্দ্রিমায় যায়! আর আমার মুমিন ভাইগুলা একটা বিয়া করার জন্য আহাজারি করে গভীর রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়! জগন্য একটা অতীত নিয়েও প্রভারা দিব্যি ঘুরে বেড়ায়! "আমি ফিরতে চাই" পত্রিকার শিরোনামের পর ছাগলের বাচ্চা পয়দা হওয়ার মত নাটক পয়দা করে আর ফেসবুকে সীসা টানার এবং তার তিন পুরুষের বর্তমান পুরুষ বলদ স্বামীটার সাথে চুম্মাচুম্মির ছবি আপলোড করে! আর আদ্ভুত সিস্টেমের চিরায়ত আবাল বাঙালি মুসলিম "ওমা! প্রভা এতদিন পর??" চিৎকার দিয়ে হা করে তার নাটক দেখতে বসে! আবার এই প্রভাদের নিয়েই জৈনক আকাইম্মা সুশীলকে বলতে দেখা যায় "একটা ছেলে আর একটা মেয়ে শারীরিক সম্পর্ক করবে এটা সমস্যা নয়, সমস্যা হয় যখন বিশ্বাসটা ভাঙ্গে!" জেনা, ব্যবিচার এই বিশয়গুলো খারাপ এটা শুধু বইয়ের পাতায় বাস্তবে দিন দিন আমাদের সিস্টেমে এগুলু স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে! সিস্টেম প্রভাদের সব অপরাধ ক্ষমা করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখায়! আজকে পাড়ার হিজাবি মেয়েতা একটু রাত করে বাসায় ফিরলে "খাইছেরে! মাইয়াটারে তো ভালা মনে করছিলাম! এই তাইলে অবস্থা! ভিডিও লাগে না আবেগের ভুলে পা দিয়ে ভণ্ড কোন খাটাশের মোবাইল থেকে একটা ছবি বেরোলেই হিজাবি মেয়েটাকে নষ্টা মেয়ের ট্যাগ নিয়ে ফাঁস দিতে হয়! সাদা কাগজে কালির একটা ফোঁটাও স্পষ্ট দেখা যায় কিন্তু যে কাগজ কুচকুচে কালো সেখানে কালি লাগলেই কি না লাগলেই কি!!
নৈতিকতা, মানবতা আর মনুষ্যত্ব বিবর্জিত এই সিস্টেমে ন্যায় অন্যায় কোন ফ্যাক্টর নয়! এখানে সব ন্যায় ক্ষমতাসীনদের আর সব অন্যায় বিরোধীদের! এই বিষয়ে অন্য কোনদিন বলব!
যুগ যুগ ধরে আমাদের সিস্টেমের মুসলিমদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে মাথায় ঢুকানো হয়েছে ইউরোপ অ্যামেরিকা! সারাদিন ইসলামের কথা বলে মুসলিম যুবকদের তাই দেখা যায় আমেরিকার গ্রীন কার্ডের স্বপ্নে বিভোর! এ যেন স্বর্গের দরোজা!
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে না পারলে জীবনটাই বৃথা! কয়েক হালি প্রেম করতে না পারলে কিসের স্মার্টনেস! বিয়ার পরও শান্তি নাই! হিন্দি সিরিয়াল থেকে প্রাপ্ত দিনে দুই বেলা ট্রেনিং নিয়ে পরকিয়ার প্র্যাকটিস সিস্টেমের পাবলিক ভালই শিখেছে! গ্রামীণ ফোনের ২৫ পয়সা মিনিটের বিজ্ঞাপন আর অফার তো আছেই সাহস যোগাতে! এই নৈতিকত কতোটা চরম অবনতির মুখে তার সিম্পল প্রেজেন্টেশন যেন প্রথম আলোর নকশায় আরেক আকাইম্মা সুশীলের সুবন্ধুসমিপেশু! যেখানে সুশীলের কাছে পরকীয়া, ব্যবিচার, নষ্টামিতে সফল ব্যর্থরা তাদের সফলতা ব্যর্থতার গল্প শোনায়! আমাদের আকাইম্মা সুশীল সফলদের বাহবা আর ব্যর্থদের সাহস দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চায় "সমাজে এইসব নোংরামির বৈধতা চাই"। কে জানে দুইদিন পর এ সুশীলদের কারো মুখে হয়তো সমকামীর বৈধতার আর্তি আসবে! এতোমধ্যেই ঘেঁটুপুত্রের কল্যাণে সিস্টেম যারা জানতো না তারাও জেনে গেছে সমকামিতা কি জিনিস! নতুন প্রজন্ম নাকি প্রচুর গিলেছে এই ছবি! এখন এই সমাজে দুইটা ছেলে একটু অন্তরঙ্গ হলেই হয়তো সন্দেহ জাগবে! হায় সিস্টেম কোথায় এনে দাড় করালি আমাদের?? আল্লাহ আমাদের তরুণ প্রজম্নকে এই অমানুষিকতা থেকে রক্ষা কর... আমীন!
অনেক বকবক করলাম! আমার মনে হচ্ছে আমি আসল কিছুই লিখিনি! কয়েকটা পৃষ্ঠায় এই সিস্টেমের কথা বলা যায়না! আমি বলতেও চাইনি! আমি শুধু কয়েকটা প্রসঙ্গ এনে বোঝাতে চেয়েছি সিস্টেমটা ভরংকর রকম corrupted হচ্ছে! তাহলে এর সমাধান কি? সমাধান একটাই! সিস্টেমটা পাল্টাতে হবে! তবে তা প্রগতি, আধুনিকতার নষ্টামি, ধর্মীয় নিরপেক্ষতার আলোকে কোলকাতার ছবি "চলো পাল্টাই" কায়দায় নয়! আমি সেই সিস্টেমের কথাই বলছি যেখানে মূল্যবোধ, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা আর ন্যায় অন্যায়ের ফারাক থাকবে! সত্য আর মিথ্যার স্পষ্ট মূল্যায়ন থাকবে! সেটা ইসলাম... ইসলাম... আল্লাহর শপথ সেটা ইসলামের সিস্টেম খিলাফা!ইসলামের সেই গৌরবোজ্জ্বল সময়টা ফিরিয়ে আনতে হবে!
বেঁচে থাকার তাগিদে আমাদের সৃষ্ট সিস্টেম আমাদেরই ধ্বংস করার আগে! কিন্তু তার আগে খিলাফার কিছু গরম গরম বক্তব্য ছেড়ে কিংবা সদ্য পার্লার থেকে হাজার হাজার টাকার মেকাপ মেখে আসা নেত্রীকে সামনে চেয়ারে বসিয়ে নারায়ে তাকবীর রব তোলে যে এই সিস্টেম পাল্টানোর নয় সেই পলিটিক্সটা আমার মুসলিম ভাইদের বুঝতে হবে! আমেরিকা কিংবা পাশ্চাত্য শক্তি আমাদের মতো দেশগুলোতে কুফরির শিকড় গেঁড়ে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে আছে তা এই সোনার বাংলার মানুষের প্রায় পুরো অংশেরই ধারনার বাইরে! আর তাই হিলারি যখন " বাংলাদেশ আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ " জাতীয় কথার মধু ঢালে তখন সবকিছু দেখে লাফ মারা আবাল বাঙ্গালী মুসলিম অন্তরে ঢুকিয়ে দেওয়া কাফেরদেরই জাতিয়তাবাদের অহমে কপালে আশ্চর্যবোধক চিন্তার ভাঁজ ফেলে বুলি ছাড়ে " দেখেছিস! আমেরিকা আমাদের ক্যামনে দাম দেয়??"
এই সিস্টেম পাল্টানোর জন্য জাতয়তাবাদের টুকরো টুকরো সীমানা ডিঙিয়ে এক মুসলিম উম্মাহ হয়ে একযোগে আমাদের কাজ করতে হবে! সারাদিন খিলাফা খিলাফা বলে লাফিয়ে শুধু খিলাফার দাওয়া নয় সমাজে আগে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের কাছে আল্লাহর একত্ববাদের ইসলাম পৌঁছাতে হবে। রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায (রাঃ) কে ইয়েমেনে পাঠানোর সময় অসিয়ত করেছিলেন এবং দাওয়াতের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়ে বলেছিলেন
" সর্বপ্রথম তুমি তাদেরকে দাওয়াত দিবে তারা যেন তাওহীদকে স্বীকার করে নেয়।" (সহিহ মুসলিম ৩১(১৯) তাওহীদ প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স,সহিহ বুখারিঃ ৭৩৭২) ।
গনতন্ত্রের পূজা করে কাটা দিয়ে কাটা তোলার মোটা মাথার হেকমত নয় চাই রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহর অনুসরণ।
আমরা সিস্টেম পাল্টাতে চাই, কোন দলের ক্ষমতা নয়।
আমরা ইসলাম চাই, ন্যায় চাই, এক আল্লাহর শাসন চাই। মুক্তি চাই এই ভয়ঙ্কর corrupted সিস্টেম থেকে! আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন... আমীন!
Article link HERE
সমাজবিজ্ঞানের “আদিম মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে” আর ইসলামের "আল্লাহর ইচ্ছায়” মানুষ সমাজবদ্ধ হয়েছে। সমাজবদ্ধ হয়ে সামাজিক জীব হিসেবে বেঁচে থাকার তাগিদে সৃষ্টি হয়েছে রীতি, নীতি, সংস্কৃতি, চিন্তাধারা। সৃষ্টি হয়েছে সমাজের সিস্টেম। যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রয়োজনে সৃষ্ট এই সিস্টেমই মানুষকে শাসন করেছে,মানুষকে নিয়িন্ত্রন করেছে।
একজন মুসলিম হিসেবে আমি জানি আর বিশ্বাস করি সমাজ তখনই সঠিক পথে থাকে এবং থাকবে যেখানে আল্লহর প্রদত্ত সিস্টেম মানুষকে পরিচালিত করবে।
এবং ইতিহাস থেকে আমরা তার প্রমাণও পাই।কালের বিবর্তনে, বড় মগজের মানুষের মনুষ্যত্বের পদস্খলনে ইসলামের সেই সোনালি অতীত থেকে আমরা শত শত বছর পরের বর্তমানে। ১৪০০ বছর আগে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিষ্ঠিত ন্যায়, সত্য আর মানবতার একমাত্র সমাধান সমাজ আর সিস্টেম থেকে অনেক দূরের আজকের এক যুবক এই সময়ের মনুষ্যত্বহীন নষ্ট এক সমাজের কথা লিখছি!
আমি একজন মুসলিম। নামে এবং উত্তরাধিকার সুত্রে। জীবনের অনেক বড় একটা অংশ পার করে এসে আমাকে বুঝতে হয়েছে ইসলাম আসলে কি জিনিশ। তাও একেবারে initial stage থেকে।কারন কালের বিবর্তনে আমাদের এই সমাজে ছেলে মেয়েদের ইসলাম শেখানোর বদলে রকমারি কুফরি আর দুনিয়াবি জ্ঞানে জ্ঞানী করা হয়েছে।“আল্লাহর জন্য আমাদের সবকিছু” এর বদলে শিখানো হয়েছে “দুনিয়ায় এই এই করতে হবে” “অমুক তমুক হতে হবে” “সবাই মিলে হ্যাপি ফ্যামেলি হয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে হবে”। কে শিখিয়েছে?? সমাজ শিখিয়েছে, সিস্টেম শিখিয়েছে!
ছোট বেলা থেকে তিন গোয়েন্দা, হুমায়ূন, জাফর ইকবাল দিয়ে মাথা ভরিয়েছি ইসলাম শেখার সুযোগ কই?? আজকে আমরা অর্থনীতি পড়ছি! ইসলামের নয়,অ্যাডাম স্মিথ এর! আজকে আমরা সাহিত্য পড়ছি! ইসলামের নয়, রবীন্দ্রনাথের! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয় রবীন্দ্রনাথ আজ আমাদের গুরু! সকল আদর্শের উৎস!আমরা সমাজের সিস্টেমের কথা জানছি! ইসলামের নয়, কার্ল মার্ক্সের! আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে ছোট বেলা থেকেই কচি মগজ ভারি করা হয়েছে ডারউইনবাদের গাঁজাখুরি তত্ত্ব দিয়ে! আমরা এগুলোই শিখেছি, আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের এখনো এগুলোই শেখানো হচ্ছে!কে শেখাচ্ছে?? সমাজ শেখাচ্ছে, সিস্টেম শেখাচ্ছে! ইসলাম বিবর্জিত হতে হতে আমাদের সিস্টেম এখন আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক তত্বে এনে ঠেকিয়েছে! আমরা আশরাফুল মাখলুখাত কেউ অসহায়, কেউ রামছাগল, কেউ হেকমতি বড়ির জোরে আর কেউ এই সিস্টেম এর অধিপতি হয়ে এই সিস্টেমেরই পূজা করছি! আমাদের মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে! আমাদের চেতন আর অবচেতন মনে মেনে নেওয়ার মানসিকতা অনেক আগের!
আমাদের সমাজের, এই সিস্টেমের চেইন কি?? মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সত্যের জীবনবোধ! ভয়ঙ্কর দিকটা হল আমাদের সমাজ এসবের অবনতির extreme stage এ অবস্থান করছে! সমাজের আজ কোন চেইন নেই!রস্তার বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে শরীর প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতায় কাপড় ছোট হতে হতে এখন গাছের পাতা দিয়ে শরীর ঢাকার আদিম রীতির অনুসরনের সিস্টেম শুরু হয়েছে! এর পরের সংস্করণে কি আসবে আল্লাহ ভাল জানেন!এক ভাইয়ের লেখায় পড়েছিলাম তিনি বউ বাচ্চা নিয়ে রেস্টুরেন্ট এ খেতে গিয়ে দেখেন স্কুল ড্রেস পরা ছেলেমেয়েরা প্রকাশ্যে চুমু খাচ্ছে! তিনি জেনে হয়তো খুবই ব্যতীত হবেন সেই গ্রুপ চুমু এখন গ্রুপ সেক্স পর্যায়কেও ছাপিয়ে গেছে!
ভালোবাসার মত অতি পবিত্র বিষয়টাকে পুঁজি করে সমাজের চালিকাশক্তি এই তরুন তরুনিগুলোকেই সবার আগে মূল্যবোধ আর নৈতিকতা বিবর্জিত করা হয়েছে! অনেক আগে আমরা দেখতাম রিকশায় কোন আপু আর ভাইয়া থাকলে আপুরা মুখে কাপড় দিয়ে রাখত কেউ দেখে ফেলার ভয়ে!সমাজ আমাদের আপু ভাইয়াদের এখন অনেক সাহসী করে তুলেছে!মুখ ঢাকার সতর্কতা এখন পথচারীর চোখ নামিয়ে নেওয়া বা বিনোদনের খোরাকে এসে ঠেকেছে! একসময় বাইকের পেছনে কোন আপু থাকলে কেমন আড়ষ্ট হয়ে থাকতো! এখন সিস্টেম পাল্টেছে ! সময়ের কাঁটা ঘোরার সাথে সাথে আপুদের কোমরও ঘোরেছে!! আপুরা এখন বাইকে ছেলেদের কায়দায় বসে! একটু আঁধার নামলে ঝোপে ঝাড়ে আড়ালে যে জায়গাগুলোতে হয়তো লাখ টাকা দিয়েও একা একা বসানো যেত না একজন সঙ্গি আর একটু গা গরমের ফ্যান্টাসির লোভে সেই জায়গাগুলোই মুখরিত হয়ে উঠে! সিস্টেম যেন পথে পথে উন্মুক্ত পতিতালয় সৃষ্টি করছে!এই কপোত কপোতীরা কাউকে কেয়ার করছে না, কাউকেই না!কাউকে কেয়ার না করা নৈতিকটা বিবর্জিত এক প্রজন্ম আমাদের চোখের সামনেই গড়ে উঠছে! যারা এদের কেয়ার করার কথা তারাও এদের কেয়ার করছে না!তারা যে এই ভয়ঙ্কর corrupted সিস্টেমেরই অধিপতি!
ইসলাম বিবর্জিত সমাজের মানুষেরাও ইসলাম বিবর্জিত হবে এটাই স্বাভাবিক! রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইসলাম ছেড়ে আজ আমরা ভিন্ন এক ইসলাম বা মোডারেট ইসলামের ভিত্তি রচনা করেছি!আর তাই আজ ইসলাম শিখা শুরু করে ভ্যাবাচ্যাকা খেতে হয় কার ইসলাম সঠিক আর কারটা ভুল!! কার কাছে ইসলাম শিখবো? এই সিস্টেমে একজন নামাজ পড়বে সাথে টুপি রেখে ‘জীবনমুখী বাস্তবতার গান’ কিংবা ‘সামাজিক ছবি’ দেখতে বসবে! না হলে যে লোকে ক্ষ্যাত বলবে!লোকের কাছে cool হতে হবে! কে বলেছে?? সমাজ বলেছে, সিস্টেম বলেছে!
আমাদের সমাজ, আ্মাদের সিস্টেম সব ন্যায় অন্যায়, ভাল মন্দের ব্যাকরণ পাল্টে দিয়েছে!এই সমাযে সব দোষ পরিমলদের! হ্যাঁ পরিমল তার দিক থেকে ১০০% অপরাধী, এতে কোন আপত্তি নেই! কিন্তু হে সমাজ! কেন তুই মেয়েটাকে নিষ্পাপ বানিয়ে রাখবি? কেন তুই তাকে বাস্তবতার discipline শেখাবি না? কেন তুই তাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবিনা যে সে বড় হয়েছে তার এখন হিজাব পরা উচিত! আজকের চতুর্দশী সব বোঝে, প্রেম বোঝে, boyfriend বোঝে, রিকশাতে মাখামাখি বোঝে আর কমবয়সী এক স্যারের বাসায় একা পড়তে বলার পেছনের ইঙ্গিতটা কেন বোঝবেনা? আর জগন্য সিস্টেমের পলিটিক্সটা হল এখানে পরিমলকে অপরাধী কিংবা মেয়েটাকে নিষ্পাপ বানানোয় ন্যায় অন্যায়ের কোন তোয়াক্কা নেই! আছে সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতা! কালকে আরেকটা একই ঘটনায় যদি পরিমলকে নিষ্পাপ আর মেয়েটাকে অপরাধী বানানো সিস্টেমে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে নোংরা সিস্টেম তাই করবে! এটাই সিস্টেম! এই সিস্টেম হঠাৎ আকাশ থেকে নেমে আসেনি! আমরাই এই সিস্টেম তৈরি করেছি! আমরা কেউ এর দায় এড়াতে পারিনা!
আমাদের সিস্টেমটা প্রভাদের!এখানে প্রভাদের সুন্দর বিয়ে হয়! আমাদের প্রভারা স্বামীর হাত ধরে ইউরোপে মধুচন্দ্রিমায় যায়! আর আমার মুমিন ভাইগুলা একটা বিয়া করার জন্য আহাজারি করে গভীর রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়! জগন্য একটা অতীত নিয়েও প্রভারা দিব্যি ঘুরে বেড়ায়! "আমি ফিরতে চাই" পত্রিকার শিরোনামের পর ছাগলের বাচ্চা পয়দা হওয়ার মত নাটক পয়দা করে আর ফেসবুকে সীসা টানার এবং তার তিন পুরুষের বর্তমান পুরুষ বলদ স্বামীটার সাথে চুম্মাচুম্মির ছবি আপলোড করে! আর আদ্ভুত সিস্টেমের চিরায়ত আবাল বাঙালি মুসলিম "ওমা! প্রভা এতদিন পর??" চিৎকার দিয়ে হা করে তার নাটক দেখতে বসে! আবার এই প্রভাদের নিয়েই জৈনক আকাইম্মা সুশীলকে বলতে দেখা যায় "একটা ছেলে আর একটা মেয়ে শারীরিক সম্পর্ক করবে এটা সমস্যা নয়, সমস্যা হয় যখন বিশ্বাসটা ভাঙ্গে!" জেনা, ব্যবিচার এই বিশয়গুলো খারাপ এটা শুধু বইয়ের পাতায় বাস্তবে দিন দিন আমাদের সিস্টেমে এগুলু স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে! সিস্টেম প্রভাদের সব অপরাধ ক্ষমা করে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখায়! আজকে পাড়ার হিজাবি মেয়েতা একটু রাত করে বাসায় ফিরলে "খাইছেরে! মাইয়াটারে তো ভালা মনে করছিলাম! এই তাইলে অবস্থা! ভিডিও লাগে না আবেগের ভুলে পা দিয়ে ভণ্ড কোন খাটাশের মোবাইল থেকে একটা ছবি বেরোলেই হিজাবি মেয়েটাকে নষ্টা মেয়ের ট্যাগ নিয়ে ফাঁস দিতে হয়! সাদা কাগজে কালির একটা ফোঁটাও স্পষ্ট দেখা যায় কিন্তু যে কাগজ কুচকুচে কালো সেখানে কালি লাগলেই কি না লাগলেই কি!!
নৈতিকতা, মানবতা আর মনুষ্যত্ব বিবর্জিত এই সিস্টেমে ন্যায় অন্যায় কোন ফ্যাক্টর নয়! এখানে সব ন্যায় ক্ষমতাসীনদের আর সব অন্যায় বিরোধীদের! এই বিষয়ে অন্য কোনদিন বলব!
যুগ যুগ ধরে আমাদের সিস্টেমের মুসলিমদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে মাথায় ঢুকানো হয়েছে ইউরোপ অ্যামেরিকা! সারাদিন ইসলামের কথা বলে মুসলিম যুবকদের তাই দেখা যায় আমেরিকার গ্রীন কার্ডের স্বপ্নে বিভোর! এ যেন স্বর্গের দরোজা!
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে না পারলে জীবনটাই বৃথা! কয়েক হালি প্রেম করতে না পারলে কিসের স্মার্টনেস! বিয়ার পরও শান্তি নাই! হিন্দি সিরিয়াল থেকে প্রাপ্ত দিনে দুই বেলা ট্রেনিং নিয়ে পরকিয়ার প্র্যাকটিস সিস্টেমের পাবলিক ভালই শিখেছে! গ্রামীণ ফোনের ২৫ পয়সা মিনিটের বিজ্ঞাপন আর অফার তো আছেই সাহস যোগাতে! এই নৈতিকত কতোটা চরম অবনতির মুখে তার সিম্পল প্রেজেন্টেশন যেন প্রথম আলোর নকশায় আরেক আকাইম্মা সুশীলের সুবন্ধুসমিপেশু! যেখানে সুশীলের কাছে পরকীয়া, ব্যবিচার, নষ্টামিতে সফল ব্যর্থরা তাদের সফলতা ব্যর্থতার গল্প শোনায়! আমাদের আকাইম্মা সুশীল সফলদের বাহবা আর ব্যর্থদের সাহস দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চায় "সমাজে এইসব নোংরামির বৈধতা চাই"। কে জানে দুইদিন পর এ সুশীলদের কারো মুখে হয়তো সমকামীর বৈধতার আর্তি আসবে! এতোমধ্যেই ঘেঁটুপুত্রের কল্যাণে সিস্টেম যারা জানতো না তারাও জেনে গেছে সমকামিতা কি জিনিস! নতুন প্রজন্ম নাকি প্রচুর গিলেছে এই ছবি! এখন এই সমাজে দুইটা ছেলে একটু অন্তরঙ্গ হলেই হয়তো সন্দেহ জাগবে! হায় সিস্টেম কোথায় এনে দাড় করালি আমাদের?? আল্লাহ আমাদের তরুণ প্রজম্নকে এই অমানুষিকতা থেকে রক্ষা কর... আমীন!
অনেক বকবক করলাম! আমার মনে হচ্ছে আমি আসল কিছুই লিখিনি! কয়েকটা পৃষ্ঠায় এই সিস্টেমের কথা বলা যায়না! আমি বলতেও চাইনি! আমি শুধু কয়েকটা প্রসঙ্গ এনে বোঝাতে চেয়েছি সিস্টেমটা ভরংকর রকম corrupted হচ্ছে! তাহলে এর সমাধান কি? সমাধান একটাই! সিস্টেমটা পাল্টাতে হবে! তবে তা প্রগতি, আধুনিকতার নষ্টামি, ধর্মীয় নিরপেক্ষতার আলোকে কোলকাতার ছবি "চলো পাল্টাই" কায়দায় নয়! আমি সেই সিস্টেমের কথাই বলছি যেখানে মূল্যবোধ, নৈতিকতা, শৃঙ্খলা আর ন্যায় অন্যায়ের ফারাক থাকবে! সত্য আর মিথ্যার স্পষ্ট মূল্যায়ন থাকবে! সেটা ইসলাম... ইসলাম... আল্লাহর শপথ সেটা ইসলামের সিস্টেম খিলাফা!ইসলামের সেই গৌরবোজ্জ্বল সময়টা ফিরিয়ে আনতে হবে!
বেঁচে থাকার তাগিদে আমাদের সৃষ্ট সিস্টেম আমাদেরই ধ্বংস করার আগে! কিন্তু তার আগে খিলাফার কিছু গরম গরম বক্তব্য ছেড়ে কিংবা সদ্য পার্লার থেকে হাজার হাজার টাকার মেকাপ মেখে আসা নেত্রীকে সামনে চেয়ারে বসিয়ে নারায়ে তাকবীর রব তোলে যে এই সিস্টেম পাল্টানোর নয় সেই পলিটিক্সটা আমার মুসলিম ভাইদের বুঝতে হবে! আমেরিকা কিংবা পাশ্চাত্য শক্তি আমাদের মতো দেশগুলোতে কুফরির শিকড় গেঁড়ে অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে আছে তা এই সোনার বাংলার মানুষের প্রায় পুরো অংশেরই ধারনার বাইরে! আর তাই হিলারি যখন " বাংলাদেশ আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ " জাতীয় কথার মধু ঢালে তখন সবকিছু দেখে লাফ মারা আবাল বাঙ্গালী মুসলিম অন্তরে ঢুকিয়ে দেওয়া কাফেরদেরই জাতিয়তাবাদের অহমে কপালে আশ্চর্যবোধক চিন্তার ভাঁজ ফেলে বুলি ছাড়ে " দেখেছিস! আমেরিকা আমাদের ক্যামনে দাম দেয়??"
এই সিস্টেম পাল্টানোর জন্য জাতয়তাবাদের টুকরো টুকরো সীমানা ডিঙিয়ে এক মুসলিম উম্মাহ হয়ে একযোগে আমাদের কাজ করতে হবে! সারাদিন খিলাফা খিলাফা বলে লাফিয়ে শুধু খিলাফার দাওয়া নয় সমাজে আগে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের কাছে আল্লাহর একত্ববাদের ইসলাম পৌঁছাতে হবে। রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায (রাঃ) কে ইয়েমেনে পাঠানোর সময় অসিয়ত করেছিলেন এবং দাওয়াতের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়ে বলেছিলেন
" সর্বপ্রথম তুমি তাদেরকে দাওয়াত দিবে তারা যেন তাওহীদকে স্বীকার করে নেয়।" (সহিহ মুসলিম ৩১(১৯) তাওহীদ প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স,সহিহ বুখারিঃ ৭৩৭২) ।
গনতন্ত্রের পূজা করে কাটা দিয়ে কাটা তোলার মোটা মাথার হেকমত নয় চাই রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহর অনুসরণ।
আমরা সিস্টেম পাল্টাতে চাই, কোন দলের ক্ষমতা নয়।
আমরা ইসলাম চাই, ন্যায় চাই, এক আল্লাহর শাসন চাই। মুক্তি চাই এই ভয়ঙ্কর corrupted সিস্টেম থেকে! আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন... আমীন!
Article link HERE