একজন মানুষকে গুনাহের পথে নেয়ার জন্য একজন বদদ্বীনি বন্ধুর চেয়ে বেশি
প্রভাববিস্তারকারী আর কেউ হতে পারে না।
সেই ক্লাস ফোর ফাইভ থেকেই একটা ছেলে বা মেয়ে গুনাহের পথগুলো জানে তার বন্ধুদের কাছ থেকেই এবং একসময় সময়ের সাথে সাথে সে নিজেই সেসব গুনাহতে জড়িয়ে পড়ে। আজ এমন একটি সমাজ গড়ে উঠছে যেখানে নেই কোন নৈতিকতা, নেই কোন লজ্জা, নেই কোন বিবেচনাবোধ। থাকবেই বা কি করে, যেখানে ছোটবেলা থেকেই দ্বীন ইসলামের সামনে আত্মসমর্পণের শিক্ষা পাওয়ার কথা ছিল তার সেখানে সে বন্ধুদের কাছ থেকে শিখছে গুনাহের উপকরণগুলো।
তাই সন্তানকে দ্বীনদারি শিক্ষা দেয়ার সাথে সাথে তাকে বন্ধু নির্বাচনের ব্যাপারে কী কী ব্যাপার লক্ষ্য রাখতে হবে তা ছোটবেলা থেকেই তাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিলে আশা করা যায় জীবনের কোন ক্ষেত্রেই সে অসৎ বন্ধুর ফাঁদে পা দিবে না ইনশা আল্লাহ। বদদ্বীনি বন্ধুর পক্ষ থেকে আসা গুনাহের দাওয়াতকে সে স্রেফ পদদলিত করতে পারবে বিইযনিল্লাহ।
.
আমরা যারা দ্বীনের পথে চলতে আগ্রহী কিন্তু চলতে পারছি না, তারা একটু আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেদের ফ্রেন্ড সার্কেল বা কাদের সাথে বেশি সময় চলি তা ভেবে দেখি।
যদি তারা দ্বীন বিমুখ হয় তবে নিজেকে তাদের সংশ্রব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। কেননা তাদের সংস্পর্শে গেলে গীবত, নারী আলাপ, আজে বাজে কথা ছাড়া ভাল কিছুই পাওয়া যাবে না। এগুলো না দ্বীনের ফায়দা না দুনিয়ার ফায়দা। অবশ্যই তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে, কিন্তু দ্বীনের দাওয়াতের উসিলায় তাদের জাহিলিয়াতের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলে, তাদের মাঝে বেশি সময় অবস্থান করলে দাওয়াত তো দূরের কথা, উল্টো তাদের জাহিলিয়াতের সাগরে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এজন্যই আল্লাহ আযযা ওয়া জাল ও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বন্ধু নির্বাচনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
.
"জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম।হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।"
(সূরা ফুরকানঃ২৭-২৮)
.
"যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।" (অ্যাড দুখানঃ৪১)
.
"বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।" (আয যুখরুফঃ৬৭)
.
"তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র। আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।" (আল মায়িদাঃ৫৫-৫৬)
.
আর কাফির মুশরিকদের বন্ধু বানানো তো আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তারা আমাদের ক্লাসমেইট হতে পারে, প্রতিবেশি হতে পারে, অফিসের কলিগ হতে পারে কিন্তু বন্ধু হতে পারবে না, তাদের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রাখা যাবে না।
.
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?" (আন নিসাঃ১৪৪)
.
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "মানুষ তার বন্ধুর স্বভাব-আচরণে প্রভাবিত হয়, সুতরাং যাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে তার ব্যাপারে আগে ভেবে নাও। " [আবু দাউদ, তিরমিযী ]
.
.
লিখেছেনঃ- Sabet Bin Mukter
>> কালেক্টেড পোস্ট <<
সেই ক্লাস ফোর ফাইভ থেকেই একটা ছেলে বা মেয়ে গুনাহের পথগুলো জানে তার বন্ধুদের কাছ থেকেই এবং একসময় সময়ের সাথে সাথে সে নিজেই সেসব গুনাহতে জড়িয়ে পড়ে। আজ এমন একটি সমাজ গড়ে উঠছে যেখানে নেই কোন নৈতিকতা, নেই কোন লজ্জা, নেই কোন বিবেচনাবোধ। থাকবেই বা কি করে, যেখানে ছোটবেলা থেকেই দ্বীন ইসলামের সামনে আত্মসমর্পণের শিক্ষা পাওয়ার কথা ছিল তার সেখানে সে বন্ধুদের কাছ থেকে শিখছে গুনাহের উপকরণগুলো।
তাই সন্তানকে দ্বীনদারি শিক্ষা দেয়ার সাথে সাথে তাকে বন্ধু নির্বাচনের ব্যাপারে কী কী ব্যাপার লক্ষ্য রাখতে হবে তা ছোটবেলা থেকেই তাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিলে আশা করা যায় জীবনের কোন ক্ষেত্রেই সে অসৎ বন্ধুর ফাঁদে পা দিবে না ইনশা আল্লাহ। বদদ্বীনি বন্ধুর পক্ষ থেকে আসা গুনাহের দাওয়াতকে সে স্রেফ পদদলিত করতে পারবে বিইযনিল্লাহ।
.
আমরা যারা দ্বীনের পথে চলতে আগ্রহী কিন্তু চলতে পারছি না, তারা একটু আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেদের ফ্রেন্ড সার্কেল বা কাদের সাথে বেশি সময় চলি তা ভেবে দেখি।
যদি তারা দ্বীন বিমুখ হয় তবে নিজেকে তাদের সংশ্রব থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। কেননা তাদের সংস্পর্শে গেলে গীবত, নারী আলাপ, আজে বাজে কথা ছাড়া ভাল কিছুই পাওয়া যাবে না। এগুলো না দ্বীনের ফায়দা না দুনিয়ার ফায়দা। অবশ্যই তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে, কিন্তু দ্বীনের দাওয়াতের উসিলায় তাদের জাহিলিয়াতের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখলে, তাদের মাঝে বেশি সময় অবস্থান করলে দাওয়াত তো দূরের কথা, উল্টো তাদের জাহিলিয়াতের সাগরে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এজন্যই আল্লাহ আযযা ওয়া জাল ও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বন্ধু নির্বাচনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
.
"জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম।হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।"
(সূরা ফুরকানঃ২৭-২৮)
.
"যেদিন কোন বন্ধুই কোন বন্ধুর উপকারে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।" (অ্যাড দুখানঃ৪১)
.
"বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।" (আয যুখরুফঃ৬৭)
.
"তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র। আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।" (আল মায়িদাঃ৫৫-৫৬)
.
আর কাফির মুশরিকদের বন্ধু বানানো তো আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তারা আমাদের ক্লাসমেইট হতে পারে, প্রতিবেশি হতে পারে, অফিসের কলিগ হতে পারে কিন্তু বন্ধু হতে পারবে না, তাদের সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রাখা যাবে না।
.
"হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?" (আন নিসাঃ১৪৪)
.
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "মানুষ তার বন্ধুর স্বভাব-আচরণে প্রভাবিত হয়, সুতরাং যাকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে তার ব্যাপারে আগে ভেবে নাও। " [আবু দাউদ, তিরমিযী ]
.
.
লিখেছেনঃ- Sabet Bin Mukter
>> কালেক্টেড পোস্ট <<
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends