একটা প্রচলিত গল্প আছে, সেদিন একজনের ওয়ালে পড়েছিলাম। এক বারে বসে এক
মদ্যপ ব্যক্তি একজন মহিলাকে তার সাথে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন। মহিলা
মদ্যপ হলেও নিজেকে অভিজাত ভাবেন। রাগে
কটমট করে তার দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে তাকান। পুরুষটি চট করে বলেন, “দেখুন মাত্র
একটি রাত কাটানোর বিনিময়ে আপনাকে আমি এক শ কোটি টাকা দেবো, আরেকবার ভেবে
দেখুন রাজি কি না।” টাকার পরিমাণ শুনে মুহুর্তেই ভাবান্তর ঘটে মহিলার; কটমট
ভাবটা চলে যায়, চোখ নামিয়ে মাথা নিচু করে ভাবতে শুরু করেন।
পুরুষটি হঠাৎ বলে ওঠেন, “না, এক শ টাকা দেবো, ভেবে বলুন—রাজি কি না! মহিলা সাথে চিৎকার করে ওঠেন: হ্যা, অসভ্য কোথাকার, আপনি কী মনে করেছেন! আমি কি... নাকি, আমি কি... নাকি?
পুরুষটি বলেন, আপনি কী তা আমি ইতিমধ্যেই বুঝে নিয়েছি; শুধু এমাউন্টটা কত হবে এখন তা নির্ধারণ নিয়ে একটু বার্গেইন করছি আর কি!
আদর্শ-বিশ্বাসকে যদি একবার দর কষাকষির বিষয়ে পরিণত করা হয় তার অবধারিত পরিণতি হলো তা হারিয়ে ফেলা—একটু আগে কিংবা পরে। শয়তানের সাথে ঈমানদারের এমন দর কষাকষি চলে প্রতিনিয়ত।
সে এসে আমাদের ঈমানকে নিলামে তুলে দেয়। বলে, আরে তুমি তো সূদ খাও না, খেতে চাও না। আল্লাহ্র অবাধ্যতাও করতে চাও না। ঠিক আছে, কিন্তু পরিবারেরও তো তোমার উপর একটা হক্ব আছে। তারা তোমাকে এতো টাকা পয়সা খরচ করে লেখা পড়া করিয়েছে। আর চাকরিটাও কত ভালো, প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যাংক, কত হ্যান্ডসাম স্যালারি। আপাতত কিছু দিন করো, তারপর না হয় অন্য কোথাও তোমার পছন্দমতো কোনো জব খুঁজে নিও।
আপনি রাস্তায় মাথা নিচু করে হাটবেন; সে এসে বলবে, হ্যা ঠিক আছে, তুমি তো মাথা নিচু করেই চলো কিন্তু এটা কোনো সাধারণ চেহারার মেয়ে নয়, না দেখলেই মিস, অসাধারণ। তুমি তো বিয়ের জন্য পাত্রিও খুঁজছো। সেজন্যও তো একবার দেখে নিতে পারো।
শয়তান এসে বলবে, আরে তুমি নিজে তো আর এই পাপ করছো না, এই সূদী ব্যাংকের পোর্টালটা কিংবা ঐ খারাপ সাইটটা ডেভেলপ করে দিলে কী হবে? তুমি না করে দিলে কি তাদের কাজ বন্ধ হয়ে থাকবে? কেউ না কেউ কেউ তো করবে। তাহলে এত বড় কাজটা ছেড়ে দিয়ে তোমার কী লাভ হলো!
শয়তান এসে হতাশায় মনটা ভরিয়ে দেবে। বলবে দেখো, কী পেলে জীবনে। তোমার সাথে একই ইউনিভার্সিটিতে পড়তো। দেখো, ওর জামাই ওকে সাথে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করতে গেছে; অমুক বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট কিনেছে; অমুকের কত দামি দামি শাড়ি-গয়না, অমুকের জামাই সারাক্ষণ বৌএর পেছনেই ঘুরঘুর করে... তুমি একটা কী জামাই পাইলা?
শয়তান এভাবে দারিদ্রের ভয় দেখিয়ে, হতাশ করে আমাদের ঈমানকে নিলামে তোলে। এরপর শুরুতে যদিও দাম হাকা হয় অনেক, কিন্তু বিক্রিতে রাজি হয়ে গেলে হাতে কাচকলা ধরিয়ে দিয়ে চলে যাবে। শয়তান যদি একবার বুঝে ফেলে যে আপনি ঈমানটা বিক্রিতে রাজি আছেন, শুধু একটু বার্গেইনিং এর ব্যাপার, তবে সে আপনার ঈমান নিয়েই ছাড়বে এবং এক রকম বিনামুল্যেই নিয়ে নেবে।
তাই শয়তানকে না বলে দিন, শক্ত করে। কোন হতাশা নয়, কোনো লোভ নয়, কোনো না-পাওয়ার ঘ্যানঘ্যানানি নয়। বলে দিন, আমি আল্লাহকে ভালোবাসি। জীবন দেবো ঈমান দেবো না। বলে দিন, আমার বিশ্বাস কোনো পণ্য নয়, নিলামে তোলার বস্তু নয়। বলে দিন, আমার আল্লাহ আমাকে ঠিক সেই অবস্থানেই রেখেছেন যেটার আমি উপযুক্ত, যেখানে তিনি আমাকে দেখতে পছন্দ করেন, যে অবস্থানের মধ্যে আমার কল্যাণ রেখেছেন। আমি তাঁর প্রতি সর্বাবস্থায় কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে যা দিয়েছেন তা নিয়েই আমি খুশি, আমি বাধিত। তিনি আসমান জমিনের প্রভু, মালিক ও প্রতিপালক। তিনি জানেন আমি জানি না।
ভালো বই পড়ুন । উত্তম জীবন গড়ুন.
>>কালেক্টেড পোস্ট<<
পুরুষটি হঠাৎ বলে ওঠেন, “না, এক শ টাকা দেবো, ভেবে বলুন—রাজি কি না! মহিলা সাথে চিৎকার করে ওঠেন: হ্যা, অসভ্য কোথাকার, আপনি কী মনে করেছেন! আমি কি... নাকি, আমি কি... নাকি?
পুরুষটি বলেন, আপনি কী তা আমি ইতিমধ্যেই বুঝে নিয়েছি; শুধু এমাউন্টটা কত হবে এখন তা নির্ধারণ নিয়ে একটু বার্গেইন করছি আর কি!
আদর্শ-বিশ্বাসকে যদি একবার দর কষাকষির বিষয়ে পরিণত করা হয় তার অবধারিত পরিণতি হলো তা হারিয়ে ফেলা—একটু আগে কিংবা পরে। শয়তানের সাথে ঈমানদারের এমন দর কষাকষি চলে প্রতিনিয়ত।
সে এসে আমাদের ঈমানকে নিলামে তুলে দেয়। বলে, আরে তুমি তো সূদ খাও না, খেতে চাও না। আল্লাহ্র অবাধ্যতাও করতে চাও না। ঠিক আছে, কিন্তু পরিবারেরও তো তোমার উপর একটা হক্ব আছে। তারা তোমাকে এতো টাকা পয়সা খরচ করে লেখা পড়া করিয়েছে। আর চাকরিটাও কত ভালো, প্রতিষ্ঠিত একটা ব্যাংক, কত হ্যান্ডসাম স্যালারি। আপাতত কিছু দিন করো, তারপর না হয় অন্য কোথাও তোমার পছন্দমতো কোনো জব খুঁজে নিও।
আপনি রাস্তায় মাথা নিচু করে হাটবেন; সে এসে বলবে, হ্যা ঠিক আছে, তুমি তো মাথা নিচু করেই চলো কিন্তু এটা কোনো সাধারণ চেহারার মেয়ে নয়, না দেখলেই মিস, অসাধারণ। তুমি তো বিয়ের জন্য পাত্রিও খুঁজছো। সেজন্যও তো একবার দেখে নিতে পারো।
শয়তান এসে বলবে, আরে তুমি নিজে তো আর এই পাপ করছো না, এই সূদী ব্যাংকের পোর্টালটা কিংবা ঐ খারাপ সাইটটা ডেভেলপ করে দিলে কী হবে? তুমি না করে দিলে কি তাদের কাজ বন্ধ হয়ে থাকবে? কেউ না কেউ কেউ তো করবে। তাহলে এত বড় কাজটা ছেড়ে দিয়ে তোমার কী লাভ হলো!
শয়তান এসে হতাশায় মনটা ভরিয়ে দেবে। বলবে দেখো, কী পেলে জীবনে। তোমার সাথে একই ইউনিভার্সিটিতে পড়তো। দেখো, ওর জামাই ওকে সাথে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পিএইচডি করতে গেছে; অমুক বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট কিনেছে; অমুকের কত দামি দামি শাড়ি-গয়না, অমুকের জামাই সারাক্ষণ বৌএর পেছনেই ঘুরঘুর করে... তুমি একটা কী জামাই পাইলা?
শয়তান এভাবে দারিদ্রের ভয় দেখিয়ে, হতাশ করে আমাদের ঈমানকে নিলামে তোলে। এরপর শুরুতে যদিও দাম হাকা হয় অনেক, কিন্তু বিক্রিতে রাজি হয়ে গেলে হাতে কাচকলা ধরিয়ে দিয়ে চলে যাবে। শয়তান যদি একবার বুঝে ফেলে যে আপনি ঈমানটা বিক্রিতে রাজি আছেন, শুধু একটু বার্গেইনিং এর ব্যাপার, তবে সে আপনার ঈমান নিয়েই ছাড়বে এবং এক রকম বিনামুল্যেই নিয়ে নেবে।
তাই শয়তানকে না বলে দিন, শক্ত করে। কোন হতাশা নয়, কোনো লোভ নয়, কোনো না-পাওয়ার ঘ্যানঘ্যানানি নয়। বলে দিন, আমি আল্লাহকে ভালোবাসি। জীবন দেবো ঈমান দেবো না। বলে দিন, আমার বিশ্বাস কোনো পণ্য নয়, নিলামে তোলার বস্তু নয়। বলে দিন, আমার আল্লাহ আমাকে ঠিক সেই অবস্থানেই রেখেছেন যেটার আমি উপযুক্ত, যেখানে তিনি আমাকে দেখতে পছন্দ করেন, যে অবস্থানের মধ্যে আমার কল্যাণ রেখেছেন। আমি তাঁর প্রতি সর্বাবস্থায় কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে যা দিয়েছেন তা নিয়েই আমি খুশি, আমি বাধিত। তিনি আসমান জমিনের প্রভু, মালিক ও প্রতিপালক। তিনি জানেন আমি জানি না।
ভালো বই পড়ুন । উত্তম জীবন গড়ুন.
>>কালেক্টেড পোস্ট<<
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends