ক.
কিশোর বয়সটা অদ্ভুত। কোনরকম দায়িত্ব থাকেনা, পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ডে ৭০-৮০ এর ঘরের নাম্বার ছাড়া আর কোন জাগতিক চাপও থাকেনা। মুক্ত, বাধাহীন, ছিমছাম একটা জীবন। বাবা-মা এর আদর, বড় ভাই বোনের স্নেহ সব মিলে গড়পড়তা বাদশাহী হালের চলাফেরা।
আর জীবনের সবচাইতে ভয়ঙ্কর সময়টাও হল এই স্তরটায়। কিশোর মনের আবেগ, অদূরদর্শী চিন্তাভাবনা আর নৈতিকতা জ্ঞানের স্বল্পতা মুহূর্তেই ফেলে দিতে পারে বিপদে। ভয়ানক বিপদে।
কিশোর বয়সটা অদ্ভুত। কোনরকম দায়িত্ব থাকেনা, পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ডে ৭০-৮০ এর ঘরের নাম্বার ছাড়া আর কোন জাগতিক চাপও থাকেনা। মুক্ত, বাধাহীন, ছিমছাম একটা জীবন। বাবা-মা এর আদর, বড় ভাই বোনের স্নেহ সব মিলে গড়পড়তা বাদশাহী হালের চলাফেরা।
আর জীবনের সবচাইতে ভয়ঙ্কর সময়টাও হল এই স্তরটায়। কিশোর মনের আবেগ, অদূরদর্শী চিন্তাভাবনা আর নৈতিকতা জ্ঞানের স্বল্পতা মুহূর্তেই ফেলে দিতে পারে বিপদে। ভয়ানক বিপদে।
অথচ এই বয়সটা পার করে ঠিক ঠিক ৫-৬ বছর পর পালটে যায় গোটা জীবন। পৃথিবী
নামক জায়গাটা কতটা পিচ্ছিল রাস্তার আর পঙ্কিল পথের সজ্জায় সজ্জিত, তা তখনই
টের পাওয়া যায়। দায়িত্ব, কর্তব্য আর রূঢ় বাস্তবতার সম্মুখে যখন একজন যুবক
এসে দাঁড়ায়, কৈশোরের হঠকারীতা আর নির্বুদ্ধিতায় নিজেই অবাক হয়ে পড়ে।
চারপাশে অনেক কিশোরদের দেখি, ভয়ানক বিপদে পতিত অবস্থায়। কখনো আবেগে, কখনো সঙ্গদোষে, কখনো বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য ও জাগতিক জীবনের কাঠিন্য সম্পর্কে ওয়াকিফহাল না থেকে, এইভাবেই নিজেদের জীবনকে গভীর থেকে গভীরতর চোরাবালিতে তলিয়ে ফেলছে।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এদের কাছে বসিয়ে কাঁধে হাত দিয়ে বোঝাই জীবনটা যেমন দেখছে, তেমন মোটেই নয়। সামনে আসছে অকল্পনীয় আর অসহনীয় বাস্তবতা। যার মোকাবেলা করতে খেতে হয় হিমশিম। ছোট্ট কাঁধে হঠাৎ যখন দায়িত্ব এসে পড়বে, তখন ফিকে হয়ে যাবে এই রঙ বেরঙের জীবনটা।
পারি না। হয়তো আমার কথা তারা পাত্তাও দেবেনা। ঐটুকুন বয়সেই বাপের পয়সা বাতাসে উড়িয়ে ফুর্তি করে বেড়ালে কিংবা খেলার সাথীর মত পিচ্চি পাচ্চা ছেলে-মেয়ে হঠাৎ-ই বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হয়ে গেলে, কিংবা নেশা আর অহেতুক আড্ডাবাজি ছোট্ট ঐ জীবনটার নিয়ন্ত্রক হয়ে গেলে, এমন কথা পাত্তা না দেয়ারই কথা।
খ.
বদরের ময়দানে আব্দুর রাহমান ইবন আউফ (রা) এর পাশে দুজন কিশোর এসে দাঁড়ায় আর জিজ্ঞেস করে, “চাচা! আবু জাহিল কে? তাকে দেখিয়ে দিন”। তিনি জিজ্ঞেস করলেন তা জেনে তারা কি করবে। তারা বলল, “শুনেছি সে আমাদের নবী (সা) কে গালি দেয়। সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, আমরা তাকে দেখতে পেলে ততক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে থেকে আলাদা হব না, যতক্ষন পর্যন্ত তার এবং আমাদের মৃত্যু যার আগে লেখা আছে, তার মৃত্যু না হয়।”
বলা বাহুল্য তাদের নগ্ন তরবারীতেই থেমে যায় আবু জাহিলের প্রাণস্পন্দন। যুদ্ধ শেষেও তরবারীদ্বয়ে রক্ত লেগে ছিল।
গ.
ছন্নছাড়া, বোহেমিয়ান আর বাউন্ডুলে কৈশোর ছেড়ে, বাস্তবতার সামনে পাহাড়সম অটল, দায়িত্বজ্ঞানে আর জীবনের উদ্দ্যেশ্য অনুধাবনে সিংহসম কিশোর প্রাণের অপেক্ষায়...
চারপাশে অনেক কিশোরদের দেখি, ভয়ানক বিপদে পতিত অবস্থায়। কখনো আবেগে, কখনো সঙ্গদোষে, কখনো বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য ও জাগতিক জীবনের কাঠিন্য সম্পর্কে ওয়াকিফহাল না থেকে, এইভাবেই নিজেদের জীবনকে গভীর থেকে গভীরতর চোরাবালিতে তলিয়ে ফেলছে।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এদের কাছে বসিয়ে কাঁধে হাত দিয়ে বোঝাই জীবনটা যেমন দেখছে, তেমন মোটেই নয়। সামনে আসছে অকল্পনীয় আর অসহনীয় বাস্তবতা। যার মোকাবেলা করতে খেতে হয় হিমশিম। ছোট্ট কাঁধে হঠাৎ যখন দায়িত্ব এসে পড়বে, তখন ফিকে হয়ে যাবে এই রঙ বেরঙের জীবনটা।
পারি না। হয়তো আমার কথা তারা পাত্তাও দেবেনা। ঐটুকুন বয়সেই বাপের পয়সা বাতাসে উড়িয়ে ফুর্তি করে বেড়ালে কিংবা খেলার সাথীর মত পিচ্চি পাচ্চা ছেলে-মেয়ে হঠাৎ-ই বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড হয়ে গেলে, কিংবা নেশা আর অহেতুক আড্ডাবাজি ছোট্ট ঐ জীবনটার নিয়ন্ত্রক হয়ে গেলে, এমন কথা পাত্তা না দেয়ারই কথা।
খ.
বদরের ময়দানে আব্দুর রাহমান ইবন আউফ (রা) এর পাশে দুজন কিশোর এসে দাঁড়ায় আর জিজ্ঞেস করে, “চাচা! আবু জাহিল কে? তাকে দেখিয়ে দিন”। তিনি জিজ্ঞেস করলেন তা জেনে তারা কি করবে। তারা বলল, “শুনেছি সে আমাদের নবী (সা) কে গালি দেয়। সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, আমরা তাকে দেখতে পেলে ততক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে থেকে আলাদা হব না, যতক্ষন পর্যন্ত তার এবং আমাদের মৃত্যু যার আগে লেখা আছে, তার মৃত্যু না হয়।”
বলা বাহুল্য তাদের নগ্ন তরবারীতেই থেমে যায় আবু জাহিলের প্রাণস্পন্দন। যুদ্ধ শেষেও তরবারীদ্বয়ে রক্ত লেগে ছিল।
গ.
ছন্নছাড়া, বোহেমিয়ান আর বাউন্ডুলে কৈশোর ছেড়ে, বাস্তবতার সামনে পাহাড়সম অটল, দায়িত্বজ্ঞানে আর জীবনের উদ্দ্যেশ্য অনুধাবনে সিংহসম কিশোর প্রাণের অপেক্ষায়...
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends