অভিজ্ঞতা বলে যে যখন আমরা মানুষের ব্যাপারে কৌতূহলী হওয়া ছেড়ে দেই, তখন মানুষ আমাদের বিশ্বাস করতে শেখে।
কৌতূহলী হওয়া মানে খুঁটিনাটি জানতে চাওয়া। "কেমন আছ?" অথবা "বাচ্চারা কেমন আছে" এধরণের প্রশ্ন তো খুব স্বাভাবিক। কিন্তু নিজে থেকে এগিয়ে এসে জানতে চাওয়া যে কারুর স্বামীর সাথে সম্পর্ক কেমন বা শ্বশুরবাড়ির সাথে, কার সন্তান কোন পথে চলে গেল, কার বেতন কত-- এসব ডিটেলস নিয়ে খুঁচানো কিন্তু অযথা কৌতূহল। কেউ যদি মন থেকে এই কৌতূহলী হওয়ার প্রবণতা পরিহার করে, সেটা তার আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠবেই উঠবে! সে আগ বাড়িয়ে সব জানতে চাইবে না, খুঁজে খুঁজে ভিতরের খবর বুঝতে চাইবে না। আর যখন মানুষ একজনের এই স্বভাব টের পাবে, তারা এও টের পাবে যে এই স্বভাবের কারণেরই এই মানুষটা অন্য দশজনের কাছ থেকেও তথ্য যোগাড়ে অনাগ্রহী হবে। আর একই ভাবে অন্য দশজনকে তথ্য দিয়ে বেড়াতেও অনাগ্রহী হবে কারণ বাকিরা এই নিয়ে জানতে চায় কিনা এই মানুষটা সেটা জানার ব্যাপারেও আগ্রহী না!!
কৌতূহলী হওয়া মানে খুঁটিনাটি জানতে চাওয়া। "কেমন আছ?" অথবা "বাচ্চারা কেমন আছে" এধরণের প্রশ্ন তো খুব স্বাভাবিক। কিন্তু নিজে থেকে এগিয়ে এসে জানতে চাওয়া যে কারুর স্বামীর সাথে সম্পর্ক কেমন বা শ্বশুরবাড়ির সাথে, কার সন্তান কোন পথে চলে গেল, কার বেতন কত-- এসব ডিটেলস নিয়ে খুঁচানো কিন্তু অযথা কৌতূহল। কেউ যদি মন থেকে এই কৌতূহলী হওয়ার প্রবণতা পরিহার করে, সেটা তার আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠবেই উঠবে! সে আগ বাড়িয়ে সব জানতে চাইবে না, খুঁজে খুঁজে ভিতরের খবর বুঝতে চাইবে না। আর যখন মানুষ একজনের এই স্বভাব টের পাবে, তারা এও টের পাবে যে এই স্বভাবের কারণেরই এই মানুষটা অন্য দশজনের কাছ থেকেও তথ্য যোগাড়ে অনাগ্রহী হবে। আর একই ভাবে অন্য দশজনকে তথ্য দিয়ে বেড়াতেও অনাগ্রহী হবে কারণ বাকিরা এই নিয়ে জানতে চায় কিনা এই মানুষটা সেটা জানার ব্যাপারেও আগ্রহী না!!
ইসলাম কোনদিন এমন কিছু শেখাবে না আমাদের যা শেখার পর আমরা আগের চেয়ে খারাপ
হয়ে যাবো অথবা অগ্রহণযোগ্য হয়ে যাবো! সত্যিই ঠিকমত ইসলামের আলোকে নিজেদের
সংশোধন করে নিতে পারলে আমরাই হবো উত্তম আদর্শ!
আচ্ছা, এই কৌতূহলী না হওয়ার সাথে ইসলামকে টেনে আনলাম কেন?
ইমাম আন নববীর ৪০টি হাদিসের একটি হাদিস হলঃ
“এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হয়ে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কাজ বলুন যা করলে আল্লাহ্ আমাকে ভালবাসেন, লোকেরাও আমাকে ভালবাসে।
তখন তিনি বললেন: দুনিয়ার প্রতি অনুরাগী হবে না, তাহলে আল্লাহ্ তোমাকে ভালবাসবেন; আর মানুষের কাছে যা আছে তার ব্যাপারে আগ্রহী হবে না, তাহলে মানুষও তোমাকে ভালবাসবে।”[ইবনে মাজাহ্: ৪১০২]
এখন বলি, এই দুনিয়ার সমস্ত angle এ সফল একদল মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছিল, যারা একে অপরকে বিশ্বাস করেন না!! কারণ প্রত্যেকে আড়ালে প্রত্যেকের নামে কথা বলেন... একে অন্যের গোপন কথা বা দুর্বলতা তুলে ধরেন সবার সামনে, আবার এদিকে সামনা সামনি একে অন্যের প্রতি মমতা, কৌতূহল, সমবেদনার শেষ নেই।
আমরা অনেকেই এমন। কিন্তু আসল সাফল্য কোথায়???
"মানুষের কাছে যা আছে তার ব্যাপারে আগ্রহী হবে না, তাহলে মানুষও তোমাকে ভালবাসবে।"
ভালবাসা খুঁজতে হবে না, একজনের কাছে ভালো হওয়ার জন্য আরেকজনের বদনাম করতে হবে না, কেবল অযথা আগ্রহ পরিহার করতে হবে। ভালবাসার ব্যবস্থা ভালবাসার স্রষ্টাই করে দিবেন, ইনশাআল্লাহ!
সুবহানআল্লাহ!
লেখা - Nayla Nuzhat
আচ্ছা, এই কৌতূহলী না হওয়ার সাথে ইসলামকে টেনে আনলাম কেন?
ইমাম আন নববীর ৪০টি হাদিসের একটি হাদিস হলঃ
“এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হয়ে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কাজ বলুন যা করলে আল্লাহ্ আমাকে ভালবাসেন, লোকেরাও আমাকে ভালবাসে।
তখন তিনি বললেন: দুনিয়ার প্রতি অনুরাগী হবে না, তাহলে আল্লাহ্ তোমাকে ভালবাসবেন; আর মানুষের কাছে যা আছে তার ব্যাপারে আগ্রহী হবে না, তাহলে মানুষও তোমাকে ভালবাসবে।”[ইবনে মাজাহ্: ৪১০২]
এখন বলি, এই দুনিয়ার সমস্ত angle এ সফল একদল মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছিল, যারা একে অপরকে বিশ্বাস করেন না!! কারণ প্রত্যেকে আড়ালে প্রত্যেকের নামে কথা বলেন... একে অন্যের গোপন কথা বা দুর্বলতা তুলে ধরেন সবার সামনে, আবার এদিকে সামনা সামনি একে অন্যের প্রতি মমতা, কৌতূহল, সমবেদনার শেষ নেই।
আমরা অনেকেই এমন। কিন্তু আসল সাফল্য কোথায়???
"মানুষের কাছে যা আছে তার ব্যাপারে আগ্রহী হবে না, তাহলে মানুষও তোমাকে ভালবাসবে।"
ভালবাসা খুঁজতে হবে না, একজনের কাছে ভালো হওয়ার জন্য আরেকজনের বদনাম করতে হবে না, কেবল অযথা আগ্রহ পরিহার করতে হবে। ভালবাসার ব্যবস্থা ভালবাসার স্রষ্টাই করে দিবেন, ইনশাআল্লাহ!
সুবহানআল্লাহ!
লেখা - Nayla Nuzhat