আল্লাহর কোন বান্দা যদি আল্লাহর নিকট কবুল হতে চায় তবে আল্লাহ তার ডিগ্রি দেখেন না, সম্পদ দেখেন না, চেহারা দেখেন না, দেখেন তার সিফত বা গুন।
গুনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ গুন হল ঈমান।
ঈমান কি?
হুজুরে পাক (সাঃ) এর উপর পূর্ণ আস্থা থাকার কারণে তিনি আল্লাহর নিকট হতে যেসব গায়েবি খবর নিয়ে এসেছেন, সেগুলো বিনা দ্বিধায় নিশ্চিতরুপে মানিয়ে নেওয়া হল ঈমান।
ঈমানের কালিমাঃ-
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
অর্থঃ- নাই কোন মাবুদ আল্লাহ ছাড়া, মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল।
ঈমানের উদ্দেশ্যঃ-
এই কালিমা আমাদের নিকট ৩ টি জিনিসের পরিবর্তন চায়।
১) একিনের পরিবর্তন
২) তরিকার পরিবর্তন
৩)জজবার পরিবর্তন
১) একিনের পরিবর্তনঃ-
মাখলুক হতে হওয়ার একিন দিল হতে বের করে একমাত্র আল্লাহ পাক হতেই সব কিছু হয় এই একিন দিলে পয়দা করা।
মাখলুক হতে হওয়ার একিন দিল হতে বের করে একমাত্র আল্লাহ পাক হতেই সব কিছু হয় এই একিন দিলে পয়দা করা।
২) তরিকার পরিবর্তনঃ-
এক মাত্র রাসুল (সা) এর পাকিজা তরিকাতেই দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও কামিয়াবি এই একিন দিলে পয়দা করা আর সুন্নতের খেলাফ সব কিছুকে দিল থেকে ঘৃণা করা।
এক মাত্র রাসুল (সা) এর পাকিজা তরিকাতেই দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও কামিয়াবি এই একিন দিলে পয়দা করা আর সুন্নতের খেলাফ সব কিছুকে দিল থেকে ঘৃণা করা।
৩)জজবার পরিবর্তনঃ-
দুনিয়ার সুখ দুঃখও অস্থায়ী। আসল অনন্ত সুখ জান্নাতে। আসল দুঃখ কষ্ট জাহান্নামে। এজন্য মালমুখি জজবাকে আমাল মুখি করা আর দুনিয়া পাওয়ার জজবাকে আখিরাতে জান্নাত পাওয়ার জজবায় পরিবর্তন করা
দুনিয়ার সুখ দুঃখও অস্থায়ী। আসল অনন্ত সুখ জান্নাতে। আসল দুঃখ কষ্ট জাহান্নামে। এজন্য মালমুখি জজবাকে আমাল মুখি করা আর দুনিয়া পাওয়ার জজবাকে আখিরাতে জান্নাত পাওয়ার জজবায় পরিবর্তন করা
ঈমানের লাভঃ-
যে জাররা পরিমাণ ঈমান নিয়ে কবরে যাবে আল্লাহ পাক তাকে ১০ দুনিয়ার সমান জান্নাত দান করবেন।
ঈমান হাছিল করার তরিকাঃ-
* দাওয়াত
*মশক
*দুয়া
*দাওয়াত-
নিজের ঈমানকে বাড়ানোর নিয়তে যেখানে যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু থেকে হওয়ার কথা বলা হয় সেখানে সেখানে গিয়ে একমাত্র আল্লাহ পাক থেকে হওয়ার কথা, নবি(সাঃ) এর তরিকায় কামিয়াবির কথা আখিরাতের কথা বলব।
নিজের ঈমানকে বাড়ানোর নিয়তে যেখানে যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু থেকে হওয়ার কথা বলা হয় সেখানে সেখানে গিয়ে একমাত্র আল্লাহ পাক থেকে হওয়ার কথা, নবি(সাঃ) এর তরিকায় কামিয়াবির কথা আখিরাতের কথা বলব।
*মশক-
ঘরে ও মসজিদে ঈমানী হালকা কায়েম করে ৪ কথার মুযাকারা করব।ঘরের বাচচাদের কেও শরিক করব।
ঘরে ও মসজিদে ঈমানী হালকা কায়েম করে ৪ কথার মুযাকারা করব।ঘরের বাচচাদের কেও শরিক করব।
->আল্লাহ পাক কুদরতওয়ালা, আল্লাহ পাক পালনেওালা, আল্লাহ পাক একাই সব কিছু করেন এই কথা বেশী আলোচনা করব।
->নবীগণের উপর আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে যে সব জাহেরের খেলাফ গায়েরি মদদ ও নুসরত এসেছে সেসব ঘটনা আলোচনা করব।
->সাহাবায়ে কেরামদের আল্লাহ পাকের উপর পূর্ণ আস্থা থাকার কারণে আল্লাহ পাকের পক্ষ হতে যে সব গায়েবি মদদ ও নুসরাত এসেছে সেসব আলোচনা করব।
->কুরআন ও হাদিসে ঈমানের যেসব আলামত বর্ণিত হয়েছে সেগুলো আলোচনা করব আর সেই অনুযায়ী নিজের ঈমানকে যাচাই করব।
*দুয়া-
আল্লাহ পাকের কাছে বেশী বেশী দুয়া করব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ পাকের কাছে বেশী বেশী দুয়া করব ইনশাআল্লাহ।
----***----
নামায
নামায কি?
আল্লাহ তায়ালার খাজানা থেকে নেয়ার মাধ্যম হচ্ছে আমাল, আর আমালের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমাল হচ্ছে নামায।
নামাযের উদ্দেশ্যঃ-
নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার খাজানা হতে সরাসরি নেওয়া।
নামাযের লাভঃ-
যে বাক্তি সময়মত গুরুত্ত সহ নামায পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে নিজ জিম্মায় জান্নাত দিবেন।(সুবহানাল্লাহ)
হাসিলের তরিকা/ উপায়ঃ-
*দাওয়াত
*মশক
*দুয়া
/*/ দাওয়াতঃ-
কামেল নামাযের দাওয়াত বেশী বেশী দিবো।
/*/মস্কঃ-
নামাযের বাহির কে ঠিক করার জন্য অজু থেকে শুরু করে সালাম ফিরানো পর্যন্ত সকল ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব ভালো করে জেনে আমলে আনার চেষ্টা করতে থাকবো।
নামাযের ভিতরকে ঠিক করার জন্য প্রতি মুহূর্তে এই ধ্যান করবো যে আমি আল্লাহ তায়ালা কে দেখছি অথবা আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন।
যেকোনো হাজত বা হালতে নামাযে দাঁড়িয়ে যাবো আর এই একিন /বিশ্বাস রাখব যে নামাযের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমার সব হাজত/হালত পূর্ণ করে দিবেন।
/*/ দুয়াঃ-
আমারা সবাই যেন কবুল নামায পড়তে পারি সেজন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশী বেশী দুয়া করবো
---**---
এলেম ও জিকির
এলেমের উদ্দেশ্য
এই মুহূর্তে আমার মওলা আমার কাছে কি চান প্রতি মুহূর্তে এই ধ্যান আমার মধ্যে পয়দা করা।
এলেমের লাভ
যে ব্যাক্তি এলেম শিক্ষা করার জন্য কোন পথ চলে আল্লাহ পাক তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
এলেম হাছিল করার তরিকা/পদ্ধতি
** দাওয়াতঃঃ-
এলেমের দ্বারা মূর্খতা দূর হয়। এজন্য আমরা উদ্দেশ্য , লাভ বলে বেশী বেশী দাওয়াত দিবো
**মশকঃ-
প্রতি কাজে আল্লাহ পাকের হুকুম ও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নত তরিকা খোঁজ করব ও আমাল করতে চেষ্টা করব।
ফাজায়েলে এলেম তালিমে বসে শিখব।
মাসায়েলে এলেম আলেম ওলামাদের নিকট হতে শিখব।
**দোয়াঃ-
বেশী বেশী আল্লাহের নিকট দোয়া করব
জিকিরের উদ্দেশ্য
আল্লাহ তায়ালা আমার সাথে আছেন, সবসময় এই ধ্যানের সাথে চলা।
জিকিরের লাভ
যাহার জিহবা আল্লাহের জিকিরের দ্বারা তাজা থাকবে তাহারা হাসিমুখে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
জিকির হাসিলের তরিকা
-*- দাওয়াতঃ-
উদ্দেশ্য ও লাভ বলে বলে বেশী বেশী দাওয়াত দিবো।
-*-মশক
অর্থের দিকে খেয়াল রেখে, ধ্যানের সাথে প্রতিদিন সকাল বিকাল তিন তসবিহ আদায় করব।
আদব ও বিনয়ের সাহতে প্রতিদিন ১ পারা কোরআন তেলাওয়াত করব।
মাসনুন দোয়া গুলো শিখে আমাল করব
-*-দোয়াঃ-
আল্লাহের কাছে দোয়া করব।
এলেমের লাভ
যে ব্যাক্তি এলেম শিক্ষা করার জন্য কোন পথ চলে আল্লাহ পাক তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
এলেম হাছিল করার তরিকা/পদ্ধতি
** দাওয়াতঃঃ-
এলেমের দ্বারা মূর্খতা দূর হয়। এজন্য আমরা উদ্দেশ্য , লাভ বলে বেশী বেশী দাওয়াত দিবো
**মশকঃ-
প্রতি কাজে আল্লাহ পাকের হুকুম ও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নত তরিকা খোঁজ করব ও আমাল করতে চেষ্টা করব।
ফাজায়েলে এলেম তালিমে বসে শিখব।
মাসায়েলে এলেম আলেম ওলামাদের নিকট হতে শিখব।
**দোয়াঃ-
বেশী বেশী আল্লাহের নিকট দোয়া করব
জিকিরের উদ্দেশ্য
আল্লাহ তায়ালা আমার সাথে আছেন, সবসময় এই ধ্যানের সাথে চলা।
জিকিরের লাভ
যাহার জিহবা আল্লাহের জিকিরের দ্বারা তাজা থাকবে তাহারা হাসিমুখে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
জিকির হাসিলের তরিকা
-*- দাওয়াতঃ-
উদ্দেশ্য ও লাভ বলে বলে বেশী বেশী দাওয়াত দিবো।
-*-মশক
অর্থের দিকে খেয়াল রেখে, ধ্যানের সাথে প্রতিদিন সকাল বিকাল তিন তসবিহ আদায় করব।
আদব ও বিনয়ের সাহতে প্রতিদিন ১ পারা কোরআন তেলাওয়াত করব।
মাসনুন দোয়া গুলো শিখে আমাল করব
-*-দোয়াঃ-
আল্লাহের কাছে দোয়া করব।
No comments:
Post a Comment
Plz spread this word to your friends