আজ এক ভাইয়ার স্ট্যাটাস পড়ে একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম। আমাদের মেয়েদের
দুনিয়া আমাদের হাসবেন্ড, বাচ্চা আর সংসারের মানুষদের ঘিরে। আমাদের বেশিরভাগ
চিন্তা ভাবনা সংসারের খুটিনাটি নিয়েই। কিন্তু একজন পুরুষকে টাকা উপার্জন
করতে হয়, সংসারের অভাব, কার কি লাগবে, বাচ্চাদের পড়ালেখার খরচ বাবা মা
স্ত্রী এর চাহিদা মেটানো, ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হয়। সাথে রয়েছে মা আর বউ এর
মাঝের সমঝোতা করার দ্বায়িত্ব। দোষ যারই হোক এক জনের পক্ষ নিলে আরেকজন কষ্ট
পায়। সারাদিন অফিস করে বাসে ঝুলতে ঝুলতে ঘামে ভিজে বাসায় এসেও
আরাম করার উপায় নাই, বাচ্চাটা সারাদিন অপেক্ষা করে আছে বাবা কখন আসবে,
আসলেই বাবার সাথে খেলতে হবে। বউ অপেক্ষা করে আছে কখন তার হাসবেন্ড আসবে,
একটু গল্প করবে,বাবা মা হয়তো অপেক্ষা করে আছে কখন তার ছেলেটা আসবে, সংসারের
কোনো ডিসিশনের ব্যাপারে আলাপ করতে হবে। বেশিরভাগ ছেলেই বাচ্চা, মা বাবা বউ
এর মুখে হাসি দেখে ক্লান্তি ভুলে সময় দেয় পরিবারকে। কিন্তু কোনোদিন হয়তো
বউ অপেক্ষা করে আছে আর হাসবেন্ড খুব বেশি ক্লান্ত থাকায় একটু ঘুমাতে বা
রেস্ট নিতে চাইলো, ওমনি বউ এর অভিমান আর কমপ্লেইন শুরু হয়ে যায়!
আল্লাহ স্বামী স্ত্রীকে একজন আরেকজনের পোশাক স্বরুপ বলেছেন। মেয়েদের
আল্লাহ একটা সংসার সুন্দর করে সাজানোর ক্ষমতা দিয়েছেন। আমি যেমন আশা করি
সারাদিন কাজ করতে করতে ক্লান্ত আমাকে আমার হাসবেন্ড একটু সাহায্য করবে,
একটু সময় দিবে, হাসি ঠাট্টা দিয়ে তেমন হাসবেন্ড ও আশা করে যেদিন তার অনেক
কষ্ট হয় তা আমি বুঝবো এবং মন খারাপ না করে তাকে ঠিকমতো খেয়ে ঘুমাতে, রেস্ট
নিতে সুযোগ করে দিবো,বাচ্চাদের বা পরিবারের অন্যদের সাথে মনোমালিন্যের কথা
তুলে মন মেজাজ আরো খারাপ করে দিবোনা। সুযোগ দিতে না পারলেও অন্তত একটু
সহানুভূতি,একটু হাসি পারে বাইরের সকল কষ্ট ভুলিয়ে দিতে। আমাদের কোনো কিছু
খারাপ লাগতে তা যে বাসায় আসার সাথে সাথেই কমপ্লেইন করা লাগবে তা তো না।
সারাজীবন একসাথে থাকতেই তো আমরা বিয়ে করেছি। কমপ্লেইন করার কতো সময় পাওয়া
যাবে!
collected
collected